নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপিকে(Bengal BJP) বড়সড় ঝাঁকুনি দিয়ে গেলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা(J P Nadda)। তাঁর সফরকালেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেল বঙ্গ বিজেপিতে আর বুথ কমিটি(Booth Comity) রাখা হবে না। পরিবর্তে বুথ কমিটি ও তার ওপরে থাকা শক্তিকেন্দ্র কমিটি মিলিয়ে একটি আঞ্চলিক কমিটি গড়ে তোলা হবে। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বাংলার প্রতিটি বুথে সক্রিয় বিজেপি কর্মী তথা দলের সদস্য না থাকার কারণে। আর এই সিদ্ধান্তই কার্যত সর্বসন্মুখে বঙ্গ বিজেপির বর্তমান দুর্দশা তুলে ধরল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দলের যখন এহেন হাল তখন কোন তথ্যের ওপর ভর দিয়ে নাড্ডা বলে গেলেন বাংলা আগামীদিনে বিজেপির হতে চলেছে? ব্রিগেডে বিজেপির বিজয় সমাবেশ হবে? অনেকেই মনে করছেন নাড্ডা আসলে দলের এই দুর্দশা জেনেও কার্যত দলের নেতাকর্মীদের ভোকাল টনিক দিতেই এই সব বক্তব্য রেখে গিয়েছেন। যদিও সেই ভোকাল টনিকে কাজ হবে কিনা তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ রয়েছে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর থেকেই কার্যত বঙ্গ বিজেপিতে শুরু হয়ে গিয়েছে শনির দশা। সাংসদ থেকে বিধায়ক দল ছাড়ছেন। দলের নেতা থেকে কর্মীরাও হয় দল ছাড়ছেন না হয় বসে যাচ্ছেন। এছাড়াও তো তুঙ্গে উঠেছে দলের গোষ্ঠীকোন্দল। এই অবস্থায় নাড্ডার সফর ঘিরে অনেকেই আশা করেছিলেন যে তিনি এমন কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে যাবেন যাতে বঙ্গ বিজেপি কিছুটা হলেও চাঙ্গা হবে। কিন্তু নাড্ডা সেরকম কোনও বার্তা দেননি, বড় কোনও আশার আলোও দেখিয়ে যাননি। বরঞ্চ তাঁর সফর শেষ হওয়ার পরে পরেই সামনে এল বঙ্গ বিজেপির বুথ কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার ঘটনাটি। বিজেপি সংগঠনে রাজ্যস্তরে ৬ ধরনের কমিটি আছে। সেগুলি হল রাজ্য কমিটি, বিভাগীয় কমিটি, জেলা কমিটি, মণ্ডল কমিটি, শক্তিকেন্দ্র কমিটি ও বুথ কমিটি। বাংলায় ওপরের ৫টি স্তরে কমিটি ঠিকঠাক ভাবে গঠিত হলেও বুথ কমিটি নিয়ে সমস্যা রয়েই গিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গোহারান হারের পরে সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। এবার সেই সমস্যা থেকে কার্যত চোখ ঘোরাতেই বুথ কমিটি তুলে দেওয়া হচ্ছে বলেই অনেকে মনে করছেন। তবে বুথ মজবুত না হলে বাংলার বুকে ভোটে জেতা যে একেবারেই সহজ নয় সেটাও জানিয়ে দিচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।