সুব্রত রায়: সল্টলেক সহ বিধাননগর কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গি রুখতে বৈঠক করলেন ফিরহাদ হাকিম। এই মুহূর্তে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত। আর সেই কারণে শুক্রবার বিধান নগর পুর নিগমে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, কাকলি ঘোষ দোস্তিদার, সুজিত বোস, কৃষ্ণা চক্রবর্তী, পুর কমিশনার সহ সকল কাউন্সিলার ও বিধান নগর পৌর নিগমের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ডেঙ্গু যাতে একেবারে নির্মূল করা যায় না। যেখানে পৃথিবীব্যাপী চারিদিকে ডেঙ্গু বেড়ে যাচ্ছে, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক এর মত জায়গায়, আফ্রিকার মত জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রচন্ডভাবে হচ্ছে ,সেখানে আমাদের কলকাতা তো এফেক্ট হয়েছে। সেই জায়গায় আমাদের সচেতনতা মানুষের মধ্যে বাড়ানোর জন্য বিধান নগর কর্পোরেশনে বৈঠকে বসেছি। বিধাননগরে শুক্রবার বৈঠক করলাম যাতে আমরা সবাই মিলে সচেতন হই। মানুষ যদি ইচ্ছে করে যে আমরা আমাদের বাড়ির চারি পাশে জল জমতে দেব না ,তাহলে আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে কিন্তু এই ডেঙ্গিটা চলে যেতে পারে ।সেটাই আজকের বৈঠকে আহ্বান করার জন্য এলাম এবং কিছু টেকনিক্যাল পয়েন্ট আছে কি করা উচিত, স্প্রে টা কি করা উচিত সেটা নিয়ে পৌর সভার সাথে আলোচনা করে, আর কি কি দরকার আছে ওদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তিনি আরো বলেন, পুজোর প্যান্ডেলগুলোতে কিভাবে পুজোর দিনগুলোতে ডেঙ্গি রোগের জন্য সচেতনতা কিভাবে বাড়াতে হবে এগুলো সব নিয়ে একটা আলোচনা হল। এবার ৩০% আর্বান এলাকা এবং ৭০% রুরাল এলাকায় রিপোর্টিং হচ্ছে ডেঙ্গির ।
ফিরহাদের দাবি, তার কারণ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রুরাল ইকোনমিটাকে ডেভলপ করে দিয়েছে। রুরাল ইকোনমি ডেভলপ হয়ে যেটা হয়েছে পেরি আরবানাইজেশন হয়েছে। আগে যেরকম ঘরের চাল টালির বাড়ি ছিল, সেই জায়গায় আজকে ঢালাই আর পাকা বাড়ি হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট সব ঢালাইয়ের তৈরি হয়ে গেছে ।আগে মাটির রাস্তা ছিল । সেখান থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে জলটা পুকুরে গিয়ে পড়তো তার মানে ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এর জন্য মানুষ ভালোভাবে থাকতে চাইছে। এই পেরি আরবানাইজেশনটা হয়ে যাওয়ার ফলে ঢালাইয়ের ছাদ হয়ে গেছে ।আর যার ফলে তার ওপরে টপ থাকবে। সেইসব জায়গায় জল জমে যাবে। যেভাবে আর্বান এলাকায় আমরা নজর দিচ্ছি, বেরি আরবান পলিসি করে সেই জায়গাগুলো কেও ঠিক করতে হবে এবং শুক্রবার কেএমডিএতে আমরা একটা অর্ডার করেছি।
ল্যান্ড ইউস এন্ড পলিসি ডেভলপমেন্ট এটাকে না ঠিক করলে পরবর্তীকালে যখন ডেভেলপ হয়ে যাবে তখন এদিক-ওদিকে আমাদের ড্রেন করার জায়গা থাকবে না। এইজন্য একটি পেরি আরবান পলিসি তৈরি করছি বাংলাতে। ৯৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনটি এলাইজা মেশিন দেওয়া হয়েছে ।যেটা যেটা দরকার হচ্ছে আমরা পাশে আছি। খালের দুই ধারে ভ্যাট হিসেবে পরিণত হচ্ছে। খালের ধারে স্পেশাল কনজারভেন্সি ড্রাইভ রোজ দিতে হবে বলে জানান ফিরহাদ।