নিজস্ব প্রতিনিধি: পদপিষ্ট হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (SUVENDU ADHIKARY) অনুষ্ঠানে মৃত্যু হয়েছে শিশু সহ ৩ জনের। আর সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’র জন্য শিশিরপুত্রকে দায়ী করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বিজেপি কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যক্তা ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির। তিনি বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী। প্রধান অতিথি ছিলেন শুভেন্দু। ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বও। স্থানীয় সূত্রে খবর, ৪/৫ হাজার কম্বল বিতরণের কথা বলা হয়েছিল। মঞ্চ থেকে শুভেন্দু প্রতীকী ভাবে ৪/৫টি কম্বল বিতরণ করেছিলেন। তারপরেই তিনি মঞ্চ ছাড়েন। এরপরেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ২ মহিলা এবং ১ নাবালিকার। আহত অন্তত ৭। মৃতদের নাম প্রীতি সিং, ঝালি বাউরি ও চাঁদমনি। বয়স যথাক্রমে ১২,৬০, ৪৫। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনার সময় উদ্যোক্তাদের দেখা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, আয়োজকরা অনুষ্ঠানের কোনও অনুমতি নেয়নি। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে হাসপাতালে দেখা পাওয়া যায়নি বিজেপি নেতৃত্বের। তবে আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, আহতদের আসানসোল জেলা হাসপাতাল এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। চিকিৎসার জন্য সামান্য সময়টুকুও পাওয়া যায়নি।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ৪০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে বলে প্রচার করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে কোনও ব্যবস্থা ছিল না। কটাক্ষ করে বলা হয়, এই ১৪ ডিসেম্বরের কথা বলেছিলেন শুভেন্দু? তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, বেপরোয়া ভাবে শুভেন্দু হাতে আইন তুলে নিচ্ছেন। শুভেন্দু’র বিরুদ্ধে নতুন এফআইআর দায়ের আপাতত করা যাবে না, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কুণাল ঘোষ সেই ‘রক্ষাকবচ’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।