এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

WEB Ad_Valentine



হাসপাতালে লিফটের ভাড়া ৪০০ টাকা, নজরে দালাল চক্র



নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়ার পর এবার লিফটে ওঠার জন্য ৪০০ টাকা। প্রসূতি মহিলাকে হাসপাতালের মাতৃমা ভবনে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই টাকা দিয়েও দেয় পরিবারের সদস্যরা। সক্রিয় দালাল চক্রের কারণে পর পর দু’দিন খবরের শিরোনামে উঠে এল জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল। অভিযুক্ত একই ব্যক্তি।

জলপাইগুড়ির বাসিন্দা এক্রামুল হক অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নিয়ে সদর হাসপাতালে আসেন। তিনি জানান, ইমার্জেন্সিতে দেখানোর পর মাতৃমা ভবনে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু সিড়ি দিয়ে তাঁকে ওপরের তলে ওঠানো সম্ভব নয়। এদিকে লিফটের কাছে গেলে, লিফট ম্যান চারশো টাকা চায়। কথা না বাড়িয়ে সেই টাকা দিয়েও দেন তিনি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। এরপরেই সেইসময় মাদার চাইল্ড হাবে কর্মরত সমীর দত্ত নামে এক লিফট ম্যানকে ডেকে পাঠানো হয়। তবে এভাবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। পাশাপাশি অভিযোগ করে বলেন, ‘এখানে বুড়া নামে এক দালাল আছে। যে ওয়ার্ডের একাংশে জিডিএ স্টাফদের হয়ে প্রক্সি ডিউটি করে। পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে নার্সিংহোমে রোগী নিয়ে যাওয়া, আল্ট্রা সোনোগ্রাফি, ব্লাড টেস্ট-সহ বিভিন্ন বিষয়ে দালালি করে সে। প্রসূতিকে লিফটে তুলতে সেই চারশো টাকা নিয়ে থাকতে পারে। আর বদনাম হয় আমাদের। বুড়া আজ সুনিল কর্মকার নামে এক জিডিএ স্টাফের হয়ে ডিউটি করছিল।’

এর আগে গত বুধবার আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট থানা এলাকার বাসিন্দা তঞ্জিমা খাতুন নামে এক প্রসূতিকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে স্থানান্তরিত করা হয় সেদিনই। এরপর দিনভর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলে। সন্ধ্যা নাগাদ পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয় মহিলার গর্ভস্থ সন্তান মারা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মৃত সন্তানের প্রসব করাতে ফের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মহিলার পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে রেফার সার্টিফিকেট লিখে দিলেও, সেটি তাঁদের হাতে দেওয়া হয়নি। বরং ‘বুড়া’ নামে ওই দালালের হাতে ওই কাগজ দেওয়া হয়। আরও অভিযোগ, ওই দালাল উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে না নিয়ে গিয়ে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো ব্যবস্থা করে, এবং ৫০ হাজার টাকা নগদ চায়। ওই ঘটনায় রোগীর পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখানোয় অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছিল। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে সে।

এদিনের ঘটনায় রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘এ তো মারাত্মক অভিযোগ। এসব চলতে দেওয়া যাবেনা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। প্রয়োজনে বুড়া যার হয়ে ডিউটি করছিল তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এফআইআর করা হবে।’



Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মুণ্ডেশ্বরী নদী বাঁধে ধ্বস পরিদর্শনে বর্ধমানের জেলা শাসক

হুগলির তৈরি টোটো জাহাজে চেপে ঘানার পথে রওনা দিল

কংসাবতী নদীতে নৌকো চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে গ্রামবাসীদের অবরোধ

বঙ্গে এখন পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়েছে, ১৯৭৮ সালেও এত বৃষ্টি হয়নি

সুখবর, নভেম্বরে ১৩ দিন অফিসে যেতে হবে না সরকারি কর্মীদের

দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় বন্যা পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন নবান্ন

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর