নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: একই রাতে দুই ব্যবসায়ীকে মারধর করে ছিনতাই।এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনতাই নগদ অর্থ এবং বোলেরো গাড়ি, অন্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনতাই নগদ অর্থ এবং ল্যাপটপ। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে শূন্যে গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা। লোহার রড দিয়ে মারধর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যবসায়ী।পুলিশের তল্লাশিতে আটক দুই সন্দেহভোজন।প্রশ্নের মুখে এলাকার নিরাপত্তা।
আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ বিজেপির।পুলিশ সক্রিয় রয়েছে বলে পদক্ষেপ নিয়েছে পাল্টা বক্তব্য তৃণমূলের।মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা।হরিশ্চন্দ্রপুর(Harishchandrapur) সদর এলাকার ব্যবসায়ী শুভম আগরওয়াল। গতকাল রাত ২ টো নাগাদ ব্যবসার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী কুমেদপুরে, কুমেদপুর ক্লাবের পাশে নাকা চেক পয়েন্টে তার পথ আটকায় একদল দুস্কৃতি। মাথায় আগ্নেয়স্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে তার কাছে থাকা নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং একটি ল্যাপটপ(Laptop) নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যাওয়ার সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য তারা শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থল থেকে শুভম আগরওয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করান স্থানীয়রা। এদিকে ভোর ৫ টা নাগাদ রামসিমুল গ্রামের ব্যবসায়ী সেফিকুল আলীর গাড়ির চালক তার বোলারো গাড়ি নিয়ে কুমেদপুরের দিকে ব্যবসার কাজে যাচ্ছিল।নীলকুটি ঈদগাহের পাশে পাঁচ থেকে ছয় জন দুষ্কৃতী তাকে আক্রমণ করে। মাথায় আগ্নেয়স্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে নগদ টাকা ছিনতাই করে গাড়ি থেকে নামিয়ে বোলারো গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দুইটি ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়(Harishchandrapur P.S.) লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যে দুইজন সন্দেহভজনকে আটক করেছে।তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুটি ঘটনায় একই দুষ্কৃতিদল জড়িয়ে রয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে রাখা হচ্ছে। এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।