নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: মালদা জেলায় জোড়া ধাক্কা খেল বিজেপি। বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল পুরাতন মালদায়। মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা অনাস্থায় অপসারিত হল বিজেপির প্রধান। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে বলে স্বীকার করে নিল বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। অন্যদিকে কালিয়াচকের চরিঅনন্তপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকেও মুখ পুড়ল বিজেপির। গ্রামপঞ্চায়েত ধরে রাখল তৃণমূলই। বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে বলে তৃণমূলের দাবি, খুব শীঘ্রই বিজেপি সম্পূর্ণ সাফ হয়ে যাবে।
১৬টি আসন বিশিষ্ট পুরাতন মালদা ব্লকের মুচিয়া গ্রামপঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ১০টি আসন পায়। তৃণমূল দখল করে ৪টি আসন, কংগ্রেস পায় একটি আসন। প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপির শুভলক্ষ্মী গাইন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে বিজেপির চার সদস্য-সহ তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার অনাস্থা ভোট হলে তৃণমূলের পক্ষে ভোট পড়ে ১১টি। স্বাভাবিকভাবেই এই গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়ে গেল বিজেপির। নতুন প্রধান নির্বাচিত হবে তৃণমূলের তরফে।
অন্যদিকে ১৪টি আসন বিশিষ্ট কালিয়াচক ১-এর চরিঅনন্তপুর গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকেছিল বিজেপি-সহ বিরোধী দলের সদস্যরা। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে ৭টি আসন দখলে ছিল তৃণমূলের, তিনটি আসন পায় বিজেপি। দু’টি করে আসন পেয়েছিল কংগ্রেস ও নির্দল। তৃণমূল প্রধান শাহানারা বিবির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকেন বিজেপির তিনজন, কংগ্রেসের দু’জন এবং নির্দলের একজন সদস্য়। কিন্তু সেই অনাস্থার তলবি সভায় হাজির হলেন না বিরোধীরা। ফলে অনাস্থায় ৮-০ ভোটে তৃণমূল এই পঞ্চায়েত ধরে রাখল শেষমেষ।
জেলার দু’টি পঞ্চায়েতে নিজেদের দখলে আনতে পেরে উৎফুল্ল তৃণমূল নেতৃত্ব। এ নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘বিজেপির কিছু নেই, শুধু ফাঁকা আওয়াজ আছে। চাইলে একদিনে পুরো বিজেপি সাফ হয়ে যাবে।’ এই বিষয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে বিবাদের কারণেই মুচিয়া গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে। তবে চুরিঅনন্তপুরের ক্ষেত্রে বিজেপি-সহ অনাস্থা ডাকা সদস্যদের ভয় দেখিয়ে তাঁদের তলবি সভায় আসতে দেওয়া হয়নি। যদিও এ নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।