রাজ্যের উন্নয়ন-নাগরিকত্ব আইন-বহিরাগত তত্ত্ব, মোদি-শাহকে তীব্র আক্রমণ মমতার
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার রাণাঘাটের সভায় রাজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে যে মুখ খুলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা প্রত্যাশিতই ছিল। এদিন দুপুরে এই সভায় দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব ইস্যু থেকে রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আসা-যাওয়া সব নিয়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মমতা। নাম না করে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডাকে তোপও দেগেছেন তিনি।
রাণাঘাটের সভায় উপস্থিত কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মমতার প্রশ্ন, আপনারা সকলে ৭১ সাল থেকে রয়েছেন। অর্থাৎ প্রায় ৫০-৬০ বছর ধরে রয়েছেন, তারপরেও নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। এটা চলবে না। নাগরিক মোয়া কী খাওয়াবে বিজেপি। আমার এই আইন মানি না। এই রাজ্যে মতুয়া, নমশূদ্র ভাইবোনেরা সকলেই দেশের নাগরিক। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই কথা বলে গেলাম। কাউকে কিছু প্রমাণ করতে হবে না।
তিনি এনআরসি নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই অসমে ১৯ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ। মোট ২৩ লক্ষ লোকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও বলছে বাঙলায় এটা করা হবে। প্রাণ থাকতে এই আইন লাগু করা যাবে না। এখানে ৫০ বছর ধরে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা কেন নাগরিক নয়, তা বিজেপিকে বলতে হবে।’
অন্যদিকে, অমিত শাহের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সোনার বাংলা তৈরি করতে কিছু বাকি নেই। সব হয়ে গিয়েছে। সোনার বাংলা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এটা বিশ্ববাংলা তৈরি হচ্ছে। আর বিজেপি এখন সোনার বাংলা তৈরি করবে। পাশাপাশি, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্যে আগমনকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ওঁরা এসে হিমালয় ওয়াটার খাচ্ছে। তার দাম কত। আর আমি প্রাণধারা জল খাই, এটার দাম ৬ টাকা। সবার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। জিন্দেগি এত সহজ নয়। রাস্তায় নামতে হয়। রাস্তার ধুলোয় নামতে হয়। তোমরা তা কর না। পাঁচতারা হোটেল থেকে খাবার এনে গরীবের দাওয়ায় বসে খাচ্ছে। নতুন গামছা পেতে খাচ্ছে, যাতে নোংরা না হয়। এই তে সব নেতা।’
তবে এদিনও তিনি স্পষ্ট করেছেন কারা বহিরাগত। মমতার কথায়, ‘ভোটের জন্য যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন, তারা বহিরাগত। যাঁরা রাজ্যে থাকেন, তাঁরা বহিরাগত নয়। এই নেতারা ভোটের আগে আসেন, তারপর ফের চলে যান। তবে এই বিজেপির বাংলা ধ্বংস করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রাণ দেব, কিন্তু মাথা নোয়াব না।’
রাণাঘাটের সভায় উপস্থিত কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মমতার প্রশ্ন, আপনারা সকলে ৭১ সাল থেকে রয়েছেন। অর্থাৎ প্রায় ৫০-৬০ বছর ধরে রয়েছেন, তারপরেও নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। এটা চলবে না। নাগরিক মোয়া কী খাওয়াবে বিজেপি। আমার এই আইন মানি না। এই রাজ্যে মতুয়া, নমশূদ্র ভাইবোনেরা সকলেই দেশের নাগরিক। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই কথা বলে গেলাম। কাউকে কিছু প্রমাণ করতে হবে না।
তিনি এনআরসি নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই অসমে ১৯ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ। মোট ২৩ লক্ষ লোকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও বলছে বাঙলায় এটা করা হবে। প্রাণ থাকতে এই আইন লাগু করা যাবে না। এখানে ৫০ বছর ধরে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা কেন নাগরিক নয়, তা বিজেপিকে বলতে হবে।’
অন্যদিকে, অমিত শাহের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সোনার বাংলা তৈরি করতে কিছু বাকি নেই। সব হয়ে গিয়েছে। সোনার বাংলা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এটা বিশ্ববাংলা তৈরি হচ্ছে। আর বিজেপি এখন সোনার বাংলা তৈরি করবে। পাশাপাশি, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্যে আগমনকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ওঁরা এসে হিমালয় ওয়াটার খাচ্ছে। তার দাম কত। আর আমি প্রাণধারা জল খাই, এটার দাম ৬ টাকা। সবার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। জিন্দেগি এত সহজ নয়। রাস্তায় নামতে হয়। রাস্তার ধুলোয় নামতে হয়। তোমরা তা কর না। পাঁচতারা হোটেল থেকে খাবার এনে গরীবের দাওয়ায় বসে খাচ্ছে। নতুন গামছা পেতে খাচ্ছে, যাতে নোংরা না হয়। এই তে সব নেতা।’
তবে এদিনও তিনি স্পষ্ট করেছেন কারা বহিরাগত। মমতার কথায়, ‘ভোটের জন্য যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন, তারা বহিরাগত। যাঁরা রাজ্যে থাকেন, তাঁরা বহিরাগত নয়। এই নেতারা ভোটের আগে আসেন, তারপর ফের চলে যান। তবে এই বিজেপির বাংলা ধ্বংস করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রাণ দেব, কিন্তু মাথা নোয়াব না।’
More News:
26th January 2021
দিল্লিকাণ্ডে মমতার কাঠগড়ায় কেন্দ্র, বিশ্বাসভঙ্গে ‘নারাজ’ বিরোধীরাও
26th January 2021
26th January 2021
26th January 2021
26th January 2021
জুট কর্পোরেশনকে লুট কর্পোরেশনে পরিণত করেছে শুভেন্দু:জিতেন্দ্র
26th January 2021
26th January 2021
ভোট আবহে বাংলায় এক হাজার কোম্পানি আধাসেনা! চলতি সপ্তাহেই বৈঠক
25th January 2021
25th January 2021
Leave A Comment