সুশান্তের ছাড়পত্র আর ধর্মঘটের আগের দিনই লালসন্ত্রাসের স্মৃতি ফেরালেন মমতা
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে গড়বেতায় ফিরে আসার ছাড়পত্র দিয়েছে। দলও তাঁর ওপর থেকে সাসপেনশান তুলে নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্টারে পোস্টারে তাঁকে আবারও দলের হয়ে মাঠে ময়দানে প্রচারে নামতে বলা হচ্ছে। কেউ কেউ তো আরও এগিয়ে দাবি তুলছেন, ‘দাদাকে এবার ভোটের ময়দানে নামাতেই হবে।’ এই দাদাটি কিন্তু কুখ্যাত। মেদিনীপুরের মাটিতে সাড়া জাগানো কঙ্কালকাণ্ডের নায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও গড়বেতার জীবন্ত সন্ত্রাস সুশান্ত ঘোষ। তিনি ফিরছেন গড়বেতার বুকে। আবার আগামিকালই বামেদের ডাকা বনধে ধাক্কা খেতে চলেছে বাংলার জনজীবন। ঠিক এই রকম প্রেক্ষাপটে বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ীর মাঠ থেকেই বাঁকুড়া সহ বাংলার তামাম মানুষকে আরও একবার ৩৪ বছরের লাল সন্ত্রাসের কথা মনে করিয়ে দিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুশাসনে বাংলার আজ অনেক মানুষই ভুলে গিয়েছেন ৩৪ বছরের বাম সন্ত্রাসের চেহারা। ভুলে গিয়েছেন ছোট আঙ্গারিয়া, সূচপুর, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, চমকাইতলা, কেশপুর, সাঁইবাড়ি, মরিচঝাঁপি, বিজনসেতু, গড়বেতা, গোঘাট, খানাকুল, আমতা, নানুরের বুকে চালানো অত্যাচার, গণহত্যা, গণধর্ষণের সব ঘটনাকে। কার্যত সাড়ে তিনদশক ধরে রাষ্ট্রীয় মদতে লাল সন্ত্রাসের বুলডোজার চালানো হয়েছিল বাংলার বুকে। বাংলা আজ ভুলে গিয়েছে কত রাধারানী আড়ি বামজমানায় সিপিএমের হার্মাদী সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। বাংলা আজ ভুলে গিয়েছে কত তাপসী মালিক এই সিপিএমের হার্মাদী সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন। বাংলা আজ ভুলে গিয়েছে কত লক্ষ্মণ শেঠ বাংলাকে রক্তে রাঙিয়ে দিয়েছে। বাংলা আজ ভুলে গিয়েছে কত সুশান্ত ঘোষ বাংলার মানুষকে কঙ্কাল বানিয়ে দিয়েছে। তাই তো সেই হার্মাদরা আজ জার্সি বদলে লাল ছেড়ে গেরুয়া ঝান্ডা নিয়ে বাংলা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাংলা দখলের হুমকি ধমকি তর্জন গর্জন ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আজ এসব কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি ছাড়া আর কেউ সেই সময় বাংলার মানুষের পাশে ছিল না। যিনি ছাড়া বাংলার অত্যাচারিত নীপিড়িত মানুষকে দুই হাত ধরে আর কেউ আগলে রাখেনি। যিনি ছাড়া আর কেউ বার বার নিজের জীবনের বাজি রেখে বাম সন্ত্রাসে রক্তাক্ত হয়নি বা টানা ২৬ দিনের অনশন চালিয়ে যায়নি।
সেই মমতাই আজ বাঁকুড়ার লালমাটি থেকে আবারও বাংলার মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া লাল সন্ত্রাসের সব ছায়াকে। শুনুকপাহাড়ির মঞ্চে উঠেই তাই এদিন তিনি প্রশ্ন রেখেছেন দলের কর্মীদের কাছে, আমজনতার কাছে তাঁরা কী সব ভুলে গেছেন বাম সন্ত্রাসের সেই দিন গুলিকে। এরপর নিজেই এক এক করে বলে গিয়েছেন সেই সব ঘটনাকে। বলেছেন, ‘আমি ভুলে যাইনি কোতলপুরের বিক্রমপুর গ্রাম। সালামের বাড়ি। তাঁরা দুই ভাই। তাঁরা আর্মিতে কাজ করতো। মায়ের সামনে ছেলের মুন্ডু কেটে ফেলে দিয়েছিল। বলছিল মা একটু পানি দাও। মা এসে দেখেছে ছেলের মাথা আর ধড় আলাদা হয়ে পড়ে আছে। এই ছিল সিপিএমের অত্যাচার। মনে আছে গোপীনাথপুর। আগের দিন দেখলাম লক্ষ লক্ষ লোক। পরের দিন গিয়ে দেখলাম গলা পর্যন্ত ডুবে আছে মানুষ। সিপিএমের ভয়ে। আর গুণ্ডারা বসে মাংস খাচ্ছে। বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বেরোতো না। সারেঙ্গায় সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল। সেই সুড়ঙ্গ দিয়ে ডেডবডি পাচার হতো। সেই বাঁকুড়া, সারেঙ্গা, খাতড়া, ওন্দা, তালডাংরা, ঝিলিমিলি আজ শান্তিতে আছে। আর তাই খুব রাগ হচ্ছে সিপিএম, বিজেপি আর কংগ্রেসের। কী তাই তো? আজ জগাই মাধাই এক হয়েছে। সবাই মিলে অত্যাচার করছে। যে সিপিএমের হার্মাদরা আপনাদের ওপর অত্যাচার করতো তারাই আজ রঙ বদলে বিজেপি হয়েছে। হৃদয়টা এক আছে, খালি মুখটা বদলে গিয়েছে। সিপিএমকে দেখে আরও লজ্জা লাগে। বিজেপির পা চাটছে। আরে আমি তো তোমাদের কিছুই করিনি। শুধু বলেছি বদলা নয় বদল চাই।’ আগামীদিনে বাঁকুড়া তাই কোন বদলের পথে হাঁটে এখন সেই দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুশাসনে বাংলার আজ অনেক মানুষই ভুলে গিয়েছেন ৩৪ বছরের বাম সন্ত্রাসের চেহারা। ভুলে গিয়েছেন ছোট আঙ্গারিয়া, সূচপুর, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, চমকাইতলা, কেশপুর, সাঁইবাড়ি, মরিচঝাঁপি, বিজনসেতু, গড়বেতা, গোঘাট, খানাকুল, আমতা, নানুরের বুকে চালানো অত্যাচার, গণহত্যা, গণধর্ষণের সব ঘটনাকে। কার্যত সাড়ে তিনদশক ধরে রাষ্ট্রীয় মদতে লাল সন্ত্রাসের বুলডোজার চালানো হয়েছিল বাংলার বুকে। বাংলা আজ ভুলে গিয়েছে কত রাধারানী আড়ি বামজমানায় সিপিএমের হার্মাদী সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। বাংলা আজ ভুলে গিয়েছে কত তাপসী মালিক এই সিপিএমের হার্মাদী সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন। বাংলা আজ ভুলে গিয়েছে কত লক্ষ্মণ শেঠ বাংলাকে রক্তে রাঙিয়ে দিয়েছে। বাংলা আজ ভুলে গিয়েছে কত সুশান্ত ঘোষ বাংলার মানুষকে কঙ্কাল বানিয়ে দিয়েছে। তাই তো সেই হার্মাদরা আজ জার্সি বদলে লাল ছেড়ে গেরুয়া ঝান্ডা নিয়ে বাংলা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বাংলা দখলের হুমকি ধমকি তর্জন গর্জন ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আজ এসব কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি ছাড়া আর কেউ সেই সময় বাংলার মানুষের পাশে ছিল না। যিনি ছাড়া বাংলার অত্যাচারিত নীপিড়িত মানুষকে দুই হাত ধরে আর কেউ আগলে রাখেনি। যিনি ছাড়া আর কেউ বার বার নিজের জীবনের বাজি রেখে বাম সন্ত্রাসে রক্তাক্ত হয়নি বা টানা ২৬ দিনের অনশন চালিয়ে যায়নি।
সেই মমতাই আজ বাঁকুড়ার লালমাটি থেকে আবারও বাংলার মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া লাল সন্ত্রাসের সব ছায়াকে। শুনুকপাহাড়ির মঞ্চে উঠেই তাই এদিন তিনি প্রশ্ন রেখেছেন দলের কর্মীদের কাছে, আমজনতার কাছে তাঁরা কী সব ভুলে গেছেন বাম সন্ত্রাসের সেই দিন গুলিকে। এরপর নিজেই এক এক করে বলে গিয়েছেন সেই সব ঘটনাকে। বলেছেন, ‘আমি ভুলে যাইনি কোতলপুরের বিক্রমপুর গ্রাম। সালামের বাড়ি। তাঁরা দুই ভাই। তাঁরা আর্মিতে কাজ করতো। মায়ের সামনে ছেলের মুন্ডু কেটে ফেলে দিয়েছিল। বলছিল মা একটু পানি দাও। মা এসে দেখেছে ছেলের মাথা আর ধড় আলাদা হয়ে পড়ে আছে। এই ছিল সিপিএমের অত্যাচার। মনে আছে গোপীনাথপুর। আগের দিন দেখলাম লক্ষ লক্ষ লোক। পরের দিন গিয়ে দেখলাম গলা পর্যন্ত ডুবে আছে মানুষ। সিপিএমের ভয়ে। আর গুণ্ডারা বসে মাংস খাচ্ছে। বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বেরোতো না। সারেঙ্গায় সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল। সেই সুড়ঙ্গ দিয়ে ডেডবডি পাচার হতো। সেই বাঁকুড়া, সারেঙ্গা, খাতড়া, ওন্দা, তালডাংরা, ঝিলিমিলি আজ শান্তিতে আছে। আর তাই খুব রাগ হচ্ছে সিপিএম, বিজেপি আর কংগ্রেসের। কী তাই তো? আজ জগাই মাধাই এক হয়েছে। সবাই মিলে অত্যাচার করছে। যে সিপিএমের হার্মাদরা আপনাদের ওপর অত্যাচার করতো তারাই আজ রঙ বদলে বিজেপি হয়েছে। হৃদয়টা এক আছে, খালি মুখটা বদলে গিয়েছে। সিপিএমকে দেখে আরও লজ্জা লাগে। বিজেপির পা চাটছে। আরে আমি তো তোমাদের কিছুই করিনি। শুধু বলেছি বদলা নয় বদল চাই।’ আগামীদিনে বাঁকুড়া তাই কোন বদলের পথে হাঁটে এখন সেই দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলা।
More News:
25th January 2021
25th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
মানুষের ছ'কোটি মেরেছে শুভেন্দু, চিঠি হাতিয়ার করে তোপ অভিষেকের
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খুলবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীই
23rd January 2021
সারা জীবন উৎসর্গ করেও যোগ্য সম্মান পাননি নেতাজি, মুখ খুললেন অনিতা পাফ
Leave A Comment