এই মুহূর্তে




ধর্মঘটীদের কাছে মাথা নোয়ালেন না মমতা, অনড় থাকলেন আলু্র রফতানি নিয়ে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে আলুর দর নিয়ন্ত্রণে(Controlling Potato Price) ভিনরাজ্যে আলু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা(Ban on Exporting) জারি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের(West Bengal) সীমান্তে আলুর ট্রাক আটকে দিচ্ছে পুলিশ। তাতেই নষ্ট হচ্ছে আলু। ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এই অবস্থায় সরকারি চাপের মুখে পড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। তার জেরেই আলুর দাম বেড়েছে রাজ্যে। কিন্তু এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বিধানসভায় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যাতে রাজ্যে কোনও ভাবেই আলুর দাম না বাড়ে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যাতে আলু নিয়ে কোনও Crisis তৈরি না হয়। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যতক্ষণ না রাজ্যে আলুর দাম কমছে, জোগান স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ ভিন রাজ্যে আলুর রফতানি করা যাবে না।

কলকাতার বাজারে আলুর দর কেজি প্রতি ৪০ টাকা পার করে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তা ঘুরছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। জ্যোতি আলুর দাম ঘুরছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে আর চন্দ্রমুখীর দাম ঘুরছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। এই অবস্থায় রাজ্যে এদিন থেকে নতুন করে আলুর দাম বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আলু ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতির জেরেই বাংলার বাজারে আলুর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, বাজারে জোগান বাড়িয়ে আলুর দাম কমাতে গিয়ে কোনও রকম লিখিত নির্দেশ ছাড়াই আলুবোঝাই ট্রাক রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে রাখা হচ্ছে। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিমঘর খোলা হলেও, কর্মবিরতির কারণে আলু বার করা হয়নি। প্রতিদিন রাজ্যে ২০ হাজার মেট্রিকটন আলুর প্রয়োজন হয়। সেই জোগান যদি ঠিক না থাকে তাহলে দাম বাড়বেই আলুর। ঘটনা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর প্রশাসনিক তৎপরতায় অন্য আনাজের দাম কমলেও আলুর দামে বিশেষ হেরফের হয়নি। দাম আরও বাড়লে তা আর সাধারণের সাধ্যের মধ্যে থাকবে না বলেই মনে করছেন ক্রেতারা।

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার আলু ব্যবসায়ী কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন। ২০১৪ সালে এ রকম হয়েছিল। ভিন রাজ্যে আলু যাওয়া আটকানো হয়েছিল। তবে এ বার নির্দেশ নেই। কিন্তু পুলিশি হয়রানি হচ্ছে রাজ্যের সীমান্তগুলিতে। মুখ্যমন্ত্রী বাইরে পাঠাতে বারণ করেননি। উনি নজরদারি করতে বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর মিটিংয়ের পর থেকে আলুর দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। নিয়ন্ত্রণে থাকার পরেও যদি বাইরে আলু যাওয়া আটকানো হয়, তা হলে ব্যবসা করব কী করে। এ রকম আলুও থাকে, যেগুলি এ রাজ্যে বিক্রি হয় না। বিক্রি হয় বাইরের রাজ্যে। তা-ও আটকে দেওয়া হচ্ছে।’ যদিও প্রশাসনের দাবি, এক শ্রেণির আড়তদার অতিরিক্ত মুনাফা লুটছেন বলেই আলুর দাম সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আগে অসাধু আড়তদারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা দরকার। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উত্তম পালের হুঁশিয়ারি, প্রশাসন তাঁদের দাবি না মানলে কর্মবিরতি অনির্দিষ্ট কালের জন্য চলবে। যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রী কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন কোনওভাবেই তিনি ধর্মঘটীদের কাছে মাথা নত করবেন না।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২বছর ১১ দিন পর বলাগড়ের মাটিতে পা রাখলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, পেলেন অভ্যর্থনা

বাগুইআটিতে চুরির কিনারা, বারাসতে বড়মার মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি

হাওড়ায় পাইপ লাইনের কাজের জন্য ধস নামায় পানীয় জল সরবরাহে বিঘ্ন, চরম ভোগান্তি

করোনা-ই ভিলেন, শিশুচোর সন্দেহে ‘মা’কে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন রেলযাত্রীরা

গয়েশপুরে কাউন্সিলরের সামনেই অনুগামীকে জুতো ছুঁড়ে মারল উত্তেজিত জনতা

ধুলাগড় টোল প্লাজার কাছে প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ,ঘটনাস্থলে ১৫টি ইঞ্জিন

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর