নিজস্ব প্রতিনিধি: সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন সোমবার। এই দিন ভারত বনধের (STRIKE) ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। কেন্দ্রের অগ্নিপথ (AGNIPATH) প্রকল্পের বিরোধিতায় এই বনধ। বনধের কারণে যেন বেহাল অবস্থা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তা দেখতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন (NABANNA) থেকে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসন, থানা ও পুলিশকে। বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ডিভিশনের কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপার ও আইসিকে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর ইতিমধ্যেই জারি করেছে বিজ্ঞপ্তি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিগত কারণের জন্য রাজ্য কোনও বনধকেই সমর্থন করে না। নির্দেশ, বনধ যাতে জনজীবনে প্রভাব ফেলতে না পারে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবসময় সতর্ক থানার কথা। রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রতিটি সরকারি দফতরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য। বিশেষ লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে ট্রাফিক সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে।
উল্লেখ্য, ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভের আগুন ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে। অগ্নিগর্ভ বিহার সহ একাধিক রাজ্য। গত ১৪ জুন আচমকই সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে নয়া প্রকল্প এনেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। বিহারে ও মধ্যপ্রদেশে রেলস্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় প্রতিবাদকারীরা। সেই সঙ্গে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মধ্যপ্রদেশ সরকার একাধিক জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। যেভাবে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ছে, তা অশনিস্কেত বলেই মনে করছেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা। এই রাজ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভাটপাড়া, বনগাঁ মহকুমার ঠাকুরনগর এবং খাস কলকাতায় হাওড়া ব্রিজের ওপরেও দেখা যায় বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ একাধিক ট্রেন।