ভিড় দেখেই কাটোয়া থেকে মমতাকে আক্রমণ নাড্ডার
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: শনি বেলায় দেরী করেই বাংলায় পা রেখেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। কার্যত ঘোষিত সময়সূচীর থেকে প্রায় ২ ঘন্টা দেরীতে এদিন তিনি এসে পৌঁছান পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায়। কিন্তু তাঁকে সেখানে সাদরে বরণ করে নেন ভিড় করে জমায়েত হওয়া বিজেপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। আর সেই ভিড় দেখেই এদিন জগদানন্দপুরের সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সরকার আক্রমণ শানেন তিনি। ভিড়ে ঠাসা সভায় দাঁড়িয়ে নাড্ডা বলেন, ‘আজ অগণিত মানুষের ভিড়। আপনারা আজ যেভাবে আমায় স্বাগত জানালেন আমি বুঝেছি মমতার যাওয়ার নিশ্চিত। আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করছে আপনারা মনেপ্রাণে তৈরি। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র ফিরবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায়র কৃষকরা ন্যায় বিচার পাবেন। মমতা দিদি কিছু করে না। সব মোদীজি করেছে। মোদীজি কৃষকদের কথা ভেবেছেন। কৃষকদের জন্য একমাত্র কাজ করেছেন মোদীজি।’
কাটোয়া শহরের পাশে থাকা জগদানন্দপুর গ্রামে বিজেপির আয়োজিত ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ সভায় এদিন যোগদান করেন নাড্ডা। সেখান থেকেই তিনি মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘বাংলার মানুষ তৃণমূলকে হঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। বাংলায় বিজেপির আসবেই। এরজন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা রেশন দিই, ওরা রেশন চুরি করে। রাজ্য সরকার এ রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত করেছে। তৃণমূল মানেই চালচোর। মমতা দিদি এতো ভয় কেন? কী হয়েছে? প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প রাজ্যে চালু হবেই।’ এও সভা শেষ করেও নাড্ডা দুপুর ২টো নাগাদ মুস্থুলি গ্রামে পাঁচ কৃষকের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন চাল সংগ্রহ করতে। রাজ্যের কৃষকদের আবেগকে মাথায় রেখেই গেরুয়া শিবিরের তরফে এই জনসংযোগের কৌশল নেওয়া হয়েছে। কৃষক পরিবারের মন পেতে তাই এদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল সংগ্রহ করতে হয়েছে নাড্ডাকে। নাড্ডার এই কর্মসূচি দেখে এক গৃহকর্ত্রী আবার ভেসে গেলেন আবেগে। নাড্ডাকে ভগবান বানিয়ে বলে দিলেন, ‘বাড়িতে ভগবান এলে যেমন আনন্দ হয়। ঠিক তেমনই আনন্দ হচ্ছে।’ এই চাল সংগ্রহ করতে গিয়ে একবাড়িতে আবার নলেন গুড়ের রসগোল্লা খেতে হল নাড্ডাকে। বাংলার সেই মিষ্টি খেয়ে উচ্ছ্বসিত নাড্ডা।
বেলা আড়াইটে নাগাদ নাড্ডা গেলেন মধ্যাহ্নভোজ সারতে মুস্থলীর মণ্ডল পরিবারের বাড়িতে। সেখানেই কার্যত তাঁকে ভগবানের জ্ঞানে সেবা করা হল। এমনকি বাড়ির কর্তা মথুরা মণ্ডল যেমন নিজে উপোস করে নাড্ডার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তেমনি তাঁর স্ত্রী মানবী মণ্ডলও উপোস করে রান্নাবান্না করেছেন ও নাড্ডা সহ অতিথিদের খেতেও দিয়েছেন। মণ্ডল বাড়ির সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন ভিভিআইপিকে ঘিরে। দিন আনি, দিন খাই পরিবার কিন্তু নাড্ডা ও অতিথিদের আদর আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি রাখেনি। নাড্ডাকে তাঁরা খাইয়েছেন ভাত, রুটি, ডাল, তিন চার রকমের ভাজা, শুক্তো, পোস্ত, ফুলকপির তরকারি, চাটনি, পায়েস ও খেজুরের গুড়ের মিষ্টি। মধ্যাহ্নভোজ সেরে নাড্ডা বেরিয়ে যাওয়ার পর মানবী মণ্ডল জানালেন, ‘বাড়িতে এত বড় একজন আসায় আমরা সবাই খুব খুশি। চাই আরও নেতারা দিল্লি থেকে আমাদের বাড়িতে আসুন।’ এই গ্রাম থেকে সোজা কাটোয়ার হেলিপ্যাডে ফিরে বেলা ৩টে নাগাদ সেখান থেকে বর্ধমানের পথে রওয়ানা দেন নাড্ডা।
কাটোয়া শহরের পাশে থাকা জগদানন্দপুর গ্রামে বিজেপির আয়োজিত ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ সভায় এদিন যোগদান করেন নাড্ডা। সেখান থেকেই তিনি মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘বাংলার মানুষ তৃণমূলকে হঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। বাংলায় বিজেপির আসবেই। এরজন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা রেশন দিই, ওরা রেশন চুরি করে। রাজ্য সরকার এ রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত করেছে। তৃণমূল মানেই চালচোর। মমতা দিদি এতো ভয় কেন? কী হয়েছে? প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প রাজ্যে চালু হবেই।’ এও সভা শেষ করেও নাড্ডা দুপুর ২টো নাগাদ মুস্থুলি গ্রামে পাঁচ কৃষকের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন চাল সংগ্রহ করতে। রাজ্যের কৃষকদের আবেগকে মাথায় রেখেই গেরুয়া শিবিরের তরফে এই জনসংযোগের কৌশল নেওয়া হয়েছে। কৃষক পরিবারের মন পেতে তাই এদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল সংগ্রহ করতে হয়েছে নাড্ডাকে। নাড্ডার এই কর্মসূচি দেখে এক গৃহকর্ত্রী আবার ভেসে গেলেন আবেগে। নাড্ডাকে ভগবান বানিয়ে বলে দিলেন, ‘বাড়িতে ভগবান এলে যেমন আনন্দ হয়। ঠিক তেমনই আনন্দ হচ্ছে।’ এই চাল সংগ্রহ করতে গিয়ে একবাড়িতে আবার নলেন গুড়ের রসগোল্লা খেতে হল নাড্ডাকে। বাংলার সেই মিষ্টি খেয়ে উচ্ছ্বসিত নাড্ডা।
বেলা আড়াইটে নাগাদ নাড্ডা গেলেন মধ্যাহ্নভোজ সারতে মুস্থলীর মণ্ডল পরিবারের বাড়িতে। সেখানেই কার্যত তাঁকে ভগবানের জ্ঞানে সেবা করা হল। এমনকি বাড়ির কর্তা মথুরা মণ্ডল যেমন নিজে উপোস করে নাড্ডার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তেমনি তাঁর স্ত্রী মানবী মণ্ডলও উপোস করে রান্নাবান্না করেছেন ও নাড্ডা সহ অতিথিদের খেতেও দিয়েছেন। মণ্ডল বাড়ির সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন ভিভিআইপিকে ঘিরে। দিন আনি, দিন খাই পরিবার কিন্তু নাড্ডা ও অতিথিদের আদর আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি রাখেনি। নাড্ডাকে তাঁরা খাইয়েছেন ভাত, রুটি, ডাল, তিন চার রকমের ভাজা, শুক্তো, পোস্ত, ফুলকপির তরকারি, চাটনি, পায়েস ও খেজুরের গুড়ের মিষ্টি। মধ্যাহ্নভোজ সেরে নাড্ডা বেরিয়ে যাওয়ার পর মানবী মণ্ডল জানালেন, ‘বাড়িতে এত বড় একজন আসায় আমরা সবাই খুব খুশি। চাই আরও নেতারা দিল্লি থেকে আমাদের বাড়িতে আসুন।’ এই গ্রাম থেকে সোজা কাটোয়ার হেলিপ্যাডে ফিরে বেলা ৩টে নাগাদ সেখান থেকে বর্ধমানের পথে রওয়ানা দেন নাড্ডা।
More News:
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
ধূপগুড়ির দুর্ঘটনায় আড়াই লক্ষের ক্ষতিপূরণ! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী
20th January 2021
19th January 2021
নেতাজির জন্মদিনকে 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূল-ফরওয়ার্ড ব্লক
19th January 2021
19th January 2021
19th January 2021
সাহস থাকলে শুধু নন্দীগ্রামেই লড়াই করুন মুখ্যমন্ত্রী, তোপ শুভেন্দুর
19th January 2021
দাবিদাওয়া নিয়ে সভায় প্রাণীমিত্ররা, মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী
Leave A Comment