৪০ মিনিটেই শেষ নাড্ডার রোড শো, বিঁধলেন সৌগত
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: নাহ আশাপূরণ হল না। বর্ধমানে জমলো না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার রোড শো। বরঞ্চ এদিন নাড্ডার রোড শোতে যে ভিড় হয়েছিল তার থেকেও অনেক বড় মিছিলের সাক্ষী থেকেছে বর্ধমান শহর। একে তো মাত্র ৭০০ মিটার রাস্তা তার ওপর মাত্র ৪০ মিনিটের শো। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেই শো নিয়ে ছিঁটেফোঁটা আগ্রহ দেখালো না বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা। আর তাই শো শেষ করেই নাড্ডাকে ছুটতে দেখা গেল শহরের বিখ্যাত সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। সেখান থেকে বেড়িয়ে তিনি গেলেন এক বেসরকারি হোটেলে। একটু জিরিয়ে সেখান থেকেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু ডায়লগ আওড়ালেন যার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির কোনও মিল নেই। কার্যত কাটোয়াতে যাও বা একটু গুরুত্ব পেলেন বর্ধমানে সেটাও হয়ে দাঁড়ালো ফ্লপ শো।
এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ হেলিকপ্টারে করে কাটোয়া থেকে বর্ধমানের পথে রওয়ানা দেন জে পি নাড্ডা। দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বর্ধমান পৌঁছেই তিনি চলে আসেন সোজা রোড শোতে যোগ দিতে। কথা ছিল রোড শোতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি আসবেন শহরের নবনির্মীত কার্যালয়ে। কিন্তু সময়ের অভাবে তা বাতিল হয়। এরপর বিকাল ৪টে নাগাদ শুরু হয়ে নাড্ডার রোডশো। ‘আর নয় অন্যায়’ হোর্ডিং দেওয়া সুসজ্জিত কনভয়ে ঘড়ি মোড় থেকে শুরু হয় যাত্রা। নাড্ডার সঙ্গেই ওই গাড়িতে চড়ে বসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, এস এস আলুওয়ালিয়া, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়রা। মিছিলে নাড্ডাকে দেখা যায় ট্যাবলো থেকে মুঠো মুঠো গোলাপের পাঁপড়ি উৎসাহী জনতার মাঝে ছুঁড়ে দিতে। নাড্ডার মিছিলের পথে কোথাও ধানের গোলা, কোথাও বা সংখ্যালঘু মানুষের জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। সেখানে কৃষক বিল, তিন তালাকের মতো বিষয়কে তুলে ধরা হয়।
মিছিলে লোক দেখে বেশ বাচ্চা ছেলেদের মতোই নাড্ডা দাবি করে বসেন, ‘এত মানুষের যোগদান বলে দিচ্ছে বিজেপির জয় নিশ্চিত। আপনাদের উৎসাহ বলছে বাংলার জনতা তৃণমূল এবং মমতাকে বিদায়-নমস্কার করার জন্য প্রস্তুত আর পদ্মফুলকে স্বাগত জানাতে চায়। এখানে যাঁরা এসেছেন তাঁরা বিজেপির নয়, আমজনতার প্রতিনিধি। মানুষ না হলে এত জোশ দেখা যায় না। শুধু কর্মীরা থাকলে এত জোশ হয় না। বাংলাকে নানাভাবে সমস্যায় ফেলছে মমতার সরকার। মজুর, দলিত, আমজনতা সমস্যায় পড়েছেন। মমতা কৃষক নিধি বাস্তবায়ন করছে, কিন্তু কখন? যখন বিজেপি কৃষকদের ন্যায় দেওয়ার কথা বলছে। মোদীজী সবার বিকাশ করেন, কোনও তোষণের জায়গা নেই। কয়েক মাসের মধ্যে এখানে সব পাওয়া যাবে। কেন্দ্রের সব উন্নয়ন প্পাবেন বাংলার সব মানুষ। যেভাবে ডায়মন্ড হারবারে যা হয়েছে তা কি বাংলার সংস্কৃতি?’
মিছিল শেষ করেই নাড্ডা যান বর্ধমান শহরের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। এদিন দুপুরেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরে মন্দির বন্ধ থাকে বলে মিছিল শেষ করে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সেই মন্দিরে যান নাড্ডা। বর্ধমানের শতাব্দী প্রাচীন বিখ্যাত সীতাভোগ মিহিদানা দিয়েই সর্বমঙ্গলার পুজো দেন নাড্ডা। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে একটি পুজোর ডালা উপহার দেওয়া হয়। এরপরই একটি বেসরকারি হোটেলে ফিরে রাত ৮টা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নাড্ডা। সেখানে আরেক প্রস্থ আক্রমণ শানেন তিনি তৃণমূলের সরকারবে। বলেন, ‘শেষ বার যখন আমি এসেছিলাম সেইবার রাস্তায় কীভাবে আমাকে স্বাগত জানানো হয়েছিল সেটা আপনারা দেখেছিলেন। বাংলায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে আমার উপর কীভাবে হামলা হয়েছিল সেটা আপনারা দেখেছিলেন। এবার সো ফার সো গুড সিচ্যুয়েশান। এখানে প্রশাসনের রাজনীতিকরণ আর রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের শাসকদল অপরাধীর আখড়া হয়ে গিয়েছে। এখানেই আইনশৃঙ্খলা কেমন সেটা সহজেই বোঝা যায়। আমি নিজে ১০০ জন কর্মীর নামে তর্পণ করেছিলাম। শেষ এক মাসে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূলের হাতে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এটাই বাংলার আসল ছবি। আমাদের রোড শো যেখানে হয়েছে সেখানে মানুষের পা রাখার জায়গা নেই। এক মাসের মধ্যে আমি তফাৎ দেখতে পাচ্ছি। এখন একটা ঝড় দেখতে পাচ্ছি। আগামিদিনে সেটা সুনামিতে পরিণত হবে। বাংলা পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ এটা ঠিক করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে। তৃণমূল সরকারের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। মমতার সরকারের প্রতি মানুষের বিশ্বাস চলে গিয়েছে। বিজেপি কর্মীরা লড়াই করতে জানে। লড়াই হবে। আমাদের কর্মীরা লড়াই করবে। ২০০ আসন এর বেশি আমরা পাব। আর সিএএ নিয়ে আমরা কথা দিয়েছি, তাই সিএএ কার্যকর হবেই।’
নাড্ডার সারাদিনের এই কর্মসূচিকে অবশ্য কটাক্ষ হানতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় নাড্ডা বিজেপি ও মোদিকে এদিন আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘জেপি নাড্ডা একজন জোকার। জঘন্য কথাবার্তা বলেন। বিজেপি আসলে নীরব মোদিদের দল। ব্যাংকচোরদের দল। প্রধানমন্ত্রীও দাড়ি রাখছেন, রামছাগলও দাড়ি রাখে। দিল্লি থেকে এত দূরের পথ বেয়ে ওঁর বাংলাতে আসার সময় হয়। অথচ, মাত্র ৪০ মিনিট দূরে দিল্লির কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে আসতে পারেন না।’
এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ হেলিকপ্টারে করে কাটোয়া থেকে বর্ধমানের পথে রওয়ানা দেন জে পি নাড্ডা। দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বর্ধমান পৌঁছেই তিনি চলে আসেন সোজা রোড শোতে যোগ দিতে। কথা ছিল রোড শোতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি আসবেন শহরের নবনির্মীত কার্যালয়ে। কিন্তু সময়ের অভাবে তা বাতিল হয়। এরপর বিকাল ৪টে নাগাদ শুরু হয়ে নাড্ডার রোডশো। ‘আর নয় অন্যায়’ হোর্ডিং দেওয়া সুসজ্জিত কনভয়ে ঘড়ি মোড় থেকে শুরু হয় যাত্রা। নাড্ডার সঙ্গেই ওই গাড়িতে চড়ে বসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, এস এস আলুওয়ালিয়া, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়রা। মিছিলে নাড্ডাকে দেখা যায় ট্যাবলো থেকে মুঠো মুঠো গোলাপের পাঁপড়ি উৎসাহী জনতার মাঝে ছুঁড়ে দিতে। নাড্ডার মিছিলের পথে কোথাও ধানের গোলা, কোথাও বা সংখ্যালঘু মানুষের জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। সেখানে কৃষক বিল, তিন তালাকের মতো বিষয়কে তুলে ধরা হয়।
মিছিলে লোক দেখে বেশ বাচ্চা ছেলেদের মতোই নাড্ডা দাবি করে বসেন, ‘এত মানুষের যোগদান বলে দিচ্ছে বিজেপির জয় নিশ্চিত। আপনাদের উৎসাহ বলছে বাংলার জনতা তৃণমূল এবং মমতাকে বিদায়-নমস্কার করার জন্য প্রস্তুত আর পদ্মফুলকে স্বাগত জানাতে চায়। এখানে যাঁরা এসেছেন তাঁরা বিজেপির নয়, আমজনতার প্রতিনিধি। মানুষ না হলে এত জোশ দেখা যায় না। শুধু কর্মীরা থাকলে এত জোশ হয় না। বাংলাকে নানাভাবে সমস্যায় ফেলছে মমতার সরকার। মজুর, দলিত, আমজনতা সমস্যায় পড়েছেন। মমতা কৃষক নিধি বাস্তবায়ন করছে, কিন্তু কখন? যখন বিজেপি কৃষকদের ন্যায় দেওয়ার কথা বলছে। মোদীজী সবার বিকাশ করেন, কোনও তোষণের জায়গা নেই। কয়েক মাসের মধ্যে এখানে সব পাওয়া যাবে। কেন্দ্রের সব উন্নয়ন প্পাবেন বাংলার সব মানুষ। যেভাবে ডায়মন্ড হারবারে যা হয়েছে তা কি বাংলার সংস্কৃতি?’
মিছিল শেষ করেই নাড্ডা যান বর্ধমান শহরের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। এদিন দুপুরেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরে মন্দির বন্ধ থাকে বলে মিছিল শেষ করে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সেই মন্দিরে যান নাড্ডা। বর্ধমানের শতাব্দী প্রাচীন বিখ্যাত সীতাভোগ মিহিদানা দিয়েই সর্বমঙ্গলার পুজো দেন নাড্ডা। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে একটি পুজোর ডালা উপহার দেওয়া হয়। এরপরই একটি বেসরকারি হোটেলে ফিরে রাত ৮টা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নাড্ডা। সেখানে আরেক প্রস্থ আক্রমণ শানেন তিনি তৃণমূলের সরকারবে। বলেন, ‘শেষ বার যখন আমি এসেছিলাম সেইবার রাস্তায় কীভাবে আমাকে স্বাগত জানানো হয়েছিল সেটা আপনারা দেখেছিলেন। বাংলায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে আমার উপর কীভাবে হামলা হয়েছিল সেটা আপনারা দেখেছিলেন। এবার সো ফার সো গুড সিচ্যুয়েশান। এখানে প্রশাসনের রাজনীতিকরণ আর রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের শাসকদল অপরাধীর আখড়া হয়ে গিয়েছে। এখানেই আইনশৃঙ্খলা কেমন সেটা সহজেই বোঝা যায়। আমি নিজে ১০০ জন কর্মীর নামে তর্পণ করেছিলাম। শেষ এক মাসে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূলের হাতে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এটাই বাংলার আসল ছবি। আমাদের রোড শো যেখানে হয়েছে সেখানে মানুষের পা রাখার জায়গা নেই। এক মাসের মধ্যে আমি তফাৎ দেখতে পাচ্ছি। এখন একটা ঝড় দেখতে পাচ্ছি। আগামিদিনে সেটা সুনামিতে পরিণত হবে। বাংলা পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ এটা ঠিক করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর পায়ের তলায় মাটি সরে যাচ্ছে। তৃণমূল সরকারের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। মমতার সরকারের প্রতি মানুষের বিশ্বাস চলে গিয়েছে। বিজেপি কর্মীরা লড়াই করতে জানে। লড়াই হবে। আমাদের কর্মীরা লড়াই করবে। ২০০ আসন এর বেশি আমরা পাব। আর সিএএ নিয়ে আমরা কথা দিয়েছি, তাই সিএএ কার্যকর হবেই।’
নাড্ডার সারাদিনের এই কর্মসূচিকে অবশ্য কটাক্ষ হানতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় নাড্ডা বিজেপি ও মোদিকে এদিন আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘জেপি নাড্ডা একজন জোকার। জঘন্য কথাবার্তা বলেন। বিজেপি আসলে নীরব মোদিদের দল। ব্যাংকচোরদের দল। প্রধানমন্ত্রীও দাড়ি রাখছেন, রামছাগলও দাড়ি রাখে। দিল্লি থেকে এত দূরের পথ বেয়ে ওঁর বাংলাতে আসার সময় হয়। অথচ, মাত্র ৪০ মিনিট দূরে দিল্লির কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে আসতে পারেন না।’
More News:
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
20th January 2021
ধূপগুড়ির দুর্ঘটনায় আড়াই লক্ষের ক্ষতিপূরণ! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী
20th January 2021
19th January 2021
নেতাজির জন্মদিনকে 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূল-ফরওয়ার্ড ব্লক
19th January 2021
19th January 2021
19th January 2021
সাহস থাকলে শুধু নন্দীগ্রামেই লড়াই করুন মুখ্যমন্ত্রী, তোপ শুভেন্দুর
19th January 2021
দাবিদাওয়া নিয়ে সভায় প্রাণীমিত্ররা, মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী
Leave A Comment