নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১০ মে, বেঙ্গল এস টি এফ এর হাতে প্রায় দু’কোটি টাকা বাজারমূল্যের আড়াই কিলোগ্রাম হেরোইন(Narcotics) ও দুটি গাড়িসহ ধরা পড়েছিল পাঁচ পাচারকারী। সেই কেসের তদন্তে নেমে এস টি এফ এর হাতে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতদের মধ্যে মূল পাচারকারী নিউটাউনবাসী(Newtown) অজয় পাল সম্পর্কে জানা গেছে যে তাঁর ফুলে ফেঁপে ওঠা মাদক ব্যবসার উপর দাঁড়িয়ে ইতিমধ্যেই সে গড়ে তুলেছিল বিশাল সম্পত্তি।
আদতে বসিরহাটের(Bashirhat) ছেলে অজয়ের বর্তমানে নিউটাউনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছাড়াও ব্যারাকপুরে রয়েছে লাক্সারি স্পা(Luxary Spa)। দীঘাতে পাওয়া গেছে তাঁর নামে একটি হোটেলের সন্ধান। একাধিক লাক্সারি বাস নিয়ে রমরমিয়ে বারাসাতে চলছে তাঁর ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা। এ সবকিছুর ভিত্তি মাদক ব্যবসায় পাওয়া অর্থ।এ ছাড়াও বেআইনি সোনার বিস্কুট পাচারের ‘লাভজনক’ কারবারেও অজয় পাল হাত দিয়েছিল এরকম তথ্য পাওয়া গেছে।ধৃত পাঁচ দুষ্কৃতীকেই পুলিশ কাস্টডিতে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে,রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এর জালে ধরা পড়ে মাদক পাচারকারী চক্র। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল দুটি চার চাকা গাড়ি ,পাঁচটি মোবাইল ফোন, আড়াই কেজি হেরোইন। মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল এসটিএফ। উওর ২৪ পরগনা জেলার দমদম থানার অন্তর্গত বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেস ওয়ের ওপর সুকান্ত পল্লী বাস স্টপেজ এর কাছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়েছিল এস টি এফ(STF)।
সেখান থেকে একে একে গ্রেপ্তার হয়েছিল ৫ মাদক পাচারকারী। ধৃতদের নাম সাবির আহমেদ (২৪),সুজন শেখ(২৮), গোবিন্দ মণ্ডল(৩৭), সরোব শেখ (২৩)। ধৃতদের সঙ্গে আনা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এস টি এফ অফিসাররা আড়াই কিলোগ্রাম হেরোইন নামক মাদক উদ্ধার করেছিলো। ধৃতদের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট, গাইঘাটা ও মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া ও ক্যানিংয়ে। ধৃতরা এই বিপুল পরিমাণ মাদক কোথায় কাকে দিতে এসেছিল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তরতাজা এই যুবকদের কিভাবে মাদকচকে যুক্ত করা হয়েছে ,তা তাদের জেরা করে বিস্ফোরক তথ্য জানতে পারে এসটিএফ।