নেতাজির জন্মদিনেও 'সোনার বাংলা' গড়ার ডাক মোদির
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে কলকাতায় এসে যে আধঘণ্টা ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাতেও আগাগোড়া রাজনীতি করে গেলেন তিনি। আত্মনির্ভর ভারত থেকে সোনার বাংলা সব শব্দবন্ধনই এদিন তাঁর বক্তব্যে এসেছে। পাশাপাশি, শনিবার বিকেলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে 'সোনার বাংলা' গড়ার ডাক দিলেন নরেন্দ্র মোদি।
নিজের বক্তব্যের একেবারে শেষের দিকে একাধিকবার ‘সোনার বাংলা’ শব্দ ব্যবহার করলেন নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা সচেতনভাবে মাথায় রেখে মোদি বলেন, ‘সোনার বাংলা তৈরিতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন নেতাজি। আত্মনির্ভর বাংলার সঙ্গে সোনার বাংলার সকলের প্রেরণা। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে বাংলাকে নেতৃত্ব দিতে হবে। সোনার বাংলা তৈরি করতে হবে। বাংলার আরও গৌরব বাড়াতে হবে। নেতাজির মতই আমাদেরও সংকল্পে না পৌঁছনো পর্যন্ত থামা উচিত নয়।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদির এই অংশ শুনে কারও পক্ষে বোঝা মুশকিল এই বক্তব্য কোনও রাজনৈতিক সভার না নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের। কারণ, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে এই ‘সোনার বাংলা’ শব্দবন্ধকেই ব্যবহার করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপির নেতারা সকলেই সোনার বাংলা’কে সামনে নিয়ে প্রচারে যাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞমহলের মত, সুচারুভাবেই সেই কারণেই নিজের বক্তব্যে সোনার বাংলার কথাটা একাধিকবার ব্যবহার করেছেন তিনি।
বিরোধীদের দাবি, নেতাজির প্রতি বাঙালির আবেগ এবং রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন এই দুই ইস্যুকে একসঙ্গে মিশিয়েই বক্তব্য পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁদের অভিযোগ শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে অসম্মান করাই নয়, নিজের বক্তব্যে এভাবে আত্মনির্ভর ভারত ও সোনার বাংলা শব্দকে একাধিকবার ব্যবহার করে নিজের অবস্থানকেই নিচে নামিয়েছেন তিনি।
তবে এদিন তাঁর আধঘণ্টার বক্তৃতায় বাংলা ও বাঙালির মন জয় করতে রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, অরবিন্দ ঘোষ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অনুকূল ঠাকুর, হরিচাঁদ ঠাকুর, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু-সহ বহু মনীষীর নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু প্রতিবারের মতই এই নাম বলতে গিয়ে একাধিকবার হোঁচটও খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রামকৃষ্ণদেবের নাম বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন ‘স্বামী রামকৃষ্ণ পরমহংস’, হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম বলতে গিয়ে বলেন ‘হরিশচন্দ্র ঠাকুর’। এভাবে নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে শহরে এসে কার্যত নির্বাচনী প্রচার করে গেলেন নরেন্দ্র মোদি বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু সেই কাজও যে তিনি খুব সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছেন তা বলা যাবে না। এই মোটা দাগের রাজনৈতিক প্রচার ধরা পড়ে গিয়েছে সকলের চোখেই।
নিজের বক্তব্যের একেবারে শেষের দিকে একাধিকবার ‘সোনার বাংলা’ শব্দ ব্যবহার করলেন নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা সচেতনভাবে মাথায় রেখে মোদি বলেন, ‘সোনার বাংলা তৈরিতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন নেতাজি। আত্মনির্ভর বাংলার সঙ্গে সোনার বাংলার সকলের প্রেরণা। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে বাংলাকে নেতৃত্ব দিতে হবে। সোনার বাংলা তৈরি করতে হবে। বাংলার আরও গৌরব বাড়াতে হবে। নেতাজির মতই আমাদেরও সংকল্পে না পৌঁছনো পর্যন্ত থামা উচিত নয়।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদির এই অংশ শুনে কারও পক্ষে বোঝা মুশকিল এই বক্তব্য কোনও রাজনৈতিক সভার না নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের। কারণ, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে এই ‘সোনার বাংলা’ শব্দবন্ধকেই ব্যবহার করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপির নেতারা সকলেই সোনার বাংলা’কে সামনে নিয়ে প্রচারে যাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞমহলের মত, সুচারুভাবেই সেই কারণেই নিজের বক্তব্যে সোনার বাংলার কথাটা একাধিকবার ব্যবহার করেছেন তিনি।
বিরোধীদের দাবি, নেতাজির প্রতি বাঙালির আবেগ এবং রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন এই দুই ইস্যুকে একসঙ্গে মিশিয়েই বক্তব্য পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁদের অভিযোগ শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে অসম্মান করাই নয়, নিজের বক্তব্যে এভাবে আত্মনির্ভর ভারত ও সোনার বাংলা শব্দকে একাধিকবার ব্যবহার করে নিজের অবস্থানকেই নিচে নামিয়েছেন তিনি।
তবে এদিন তাঁর আধঘণ্টার বক্তৃতায় বাংলা ও বাঙালির মন জয় করতে রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, অরবিন্দ ঘোষ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অনুকূল ঠাকুর, হরিচাঁদ ঠাকুর, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু-সহ বহু মনীষীর নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু প্রতিবারের মতই এই নাম বলতে গিয়ে একাধিকবার হোঁচটও খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রামকৃষ্ণদেবের নাম বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন ‘স্বামী রামকৃষ্ণ পরমহংস’, হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম বলতে গিয়ে বলেন ‘হরিশচন্দ্র ঠাকুর’। এভাবে নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে শহরে এসে কার্যত নির্বাচনী প্রচার করে গেলেন নরেন্দ্র মোদি বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু সেই কাজও যে তিনি খুব সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছেন তা বলা যাবে না। এই মোটা দাগের রাজনৈতিক প্রচার ধরা পড়ে গিয়েছে সকলের চোখেই।
More News:
26th February 2021
বাংলায় বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ফের ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ অজয় নায়েক
26th February 2021
26th February 2021
সায়নী-সুদেষ্ণার সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, প্রার্থীপদ নিয়ে জল্পনা
26th February 2021
26th February 2021
26th February 2021
26th February 2021
26th February 2021
26th February 2021
25th February 2021
Leave A Comment