নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বুকে মাথাচাড়া দেওয়া শুরু করে দিল আরও এক নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা(Recruitment Scam)। এবারের কেন্দ্রস্থল মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলা। সেখানে ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত স্তরে(Panchayat Lebel) ১৫৭ পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দেন প্রায় ১ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। তারপর কয়েক বছর কেটে গেলেও, নিয়োগ না হওয়ায়, ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে, বুধবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, সেই পরীক্ষার যাবতীয় খাতাপত্র হারিয়ে গেছে। ১ লক্ষ খাতা কী করে হারিয়ে গেল, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন ওই পরীক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে ঘুরপথে ওই সব পদে লোক নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের আইনজীবীর দাবীকে মান্যতা দিতে চান না বিচারপতি। তাঁর অভিমত, সবটাই আষাঢ়ে গপ্পো।
আরও পড়ুন চলতি বছর থেকেই বাংলার সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে Online Admission
ঘটনার শুনানিতে বিচারপতি কার্যত বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘হারিয়ে গেছে বলে দিলেই, আর সে সব খুঁজে পাওয়া যাবে না, এখন আর সেটা করা যাবে না। খাতা হারিয়ে গেলেও, এখন সব সফট কপি রাখা থাকে অন্য এজেন্সির কাছে। কী করে পরীক্ষার খাতা হারাল? কে বা কারা খাতা সংরক্ষণের দায়িত্ব ছিল? ৪ সপ্তাহের মধ্যে পঞ্চায়েত দফতরের সচিবকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।’ এই চাকরির জন্য যারা পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁদের দাবি, রাজ্যের স্কুলে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও Group-D পদে যেভাবে যোগুদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের ঘুরপথে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে, এক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা ঘটেছে। এখানেই কোটি কোটি টাকার কারবার হয়েছে বলে দাবি পরীক্ষার্থীদের। তাঁরা চান আদালত এই দুর্নীতি নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ দিক। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED খুঁজে দেখুক এই দুর্নীতির ঘটনায় কে কে কত টাকা নিয়েছে। হয়তো দেখা যাবে এই ঘটনার ক্ষেত্রেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজ্যের কোনও মন্ত্রী জড়িত। সেই সঙ্গে জড়িয়ে মানিক ভট্টাচার্য, তাপস মণ্ডল এবং বেশ কিছু মিডলম্যানরা।