এই মুহূর্তে




ট্রেনের গরমে অবহেলায় মৃত্যু বৃদ্ধার, সহযাত্রীরা দেখেও মুখ ঘুরিয়ে চলে গেলেন




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বসন্তেই চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা। ট্রেন থেকে বাস সব জায়গাতেই লাগামছাড়া ভিড়, সঙ্গে তীব্র গরমের হাঁসফাঁসানি। তার মধ্যেই ঝুলে ঝুলে সফর করতে হয় নিত্যযাত্রীদের। বসা দূরের কথা, দাঁড়ানোর মতোও জায়গা পাওয়া যায়না। এমন পরিস্থিতিতেই ট্রেনে গরমে সহযাত্রীদের অবহেলায় প্রাণ হারালেন এক বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে আনুমানিক ৭০ বছরের বৃদ্ধা আরতি কর্মকার অশোকনগর থেকে বনগাঁ লোকালে উঠেছিলেন। এটার গন্তব্য ছিল হাবড়া স্টেশন। সেই সময়েও লাগামছাড়া ভিড় ছিল বনগাঁ লোকালে। পাশাপাশি তীব্র গরমের হাঁস ফাঁসানি। ভিড় ও গরম সইতে না পেরে ট্রেনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা।

হাবড়া স্টেশন পৌঁছতেই বৃদ্ধাকে ধরাধরি করে প্লাটফর্মে নামান তিন মহিলা সহযাত্রী। এরপর বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে প্লাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের কাছে সাহায্য চান তিন মহিলা যাত্রী। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি। প্রায় দশ মিনিট অসুস্থ অবস্থাতেই প্ল্যাটফর্মে পড়েছিলেন বৃদ্ধা। শেষে তিন মহিলা একটি টোটো ডেকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান বৃদ্ধাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। সোমবার দুপুরে এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে হাবড়া। যদি ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত, তাহলে হয়তো ওই বৃদ্ধাকে বাঁচানো সম্ভব হত বলে আফসোস করলেন ৩ মহিলা যাত্রী। এর জন্য হাবরা প্ল্যাটফর্মের যাত্রীদের অমানবিকতাকেই দায়ী।

জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার বাড়ি হাবড়ার মানিকতলায়। ট্রেনে উঠে তিনি কামরায় উঠে বসার জায়গা পাননি। স্বাভাবিকভাবেই অসম্ভব গরমে ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা। অচৈতন্য হয়ে কামরার মধ্যে পড়ে যান। বৃদ্ধার পাশেই ছিলেন তাঁর সহযাত্রীরা। তাঁরা তৎক্ষণাৎ অসুস্থ বৃদ্ধার চোখেমুখে জলের ঝাপটা দেন। এর মধ্যে ট্রেন হাবড়া স্টেশনে পৌঁছলে অসুস্থ বৃদ্ধাকে ধরাধরি করে প্ল্যাটফর্মে নামান বৃদ্ধার তিন সহযাত্রী। সেই সময়ে হাবড়া ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অনেক যাত্রী হাজির থাকলেও কেউ অসুস্থ বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এগিয়ে আসেননি। মিনিট দশেক পড়ে থাকার পর বৃদ্ধার খিঁচুনি শুরু হয়। যা দেখে তিন মহিলা অসুস্থ বৃদ্ধাকে ধরাধরি করে টোটোয় তুলে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই চিকিৎসক ওই বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত বৃদ্ধার সঙ্গে ছিল একটি ব্যাগ, তাতে ছাতা, ব্যাঙ্কের পাসবই এবং টাকা জমা দেওয়ার স্লিপ ছিল। সেটা দেখেই বৃদ্ধার নাম পরিচয় জানা যায়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুভেন্দুর দুর্গে বিজেপিতে ফের ভাঙন, পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ৮৩৩ জন

পহেলগাঁও জঙ্গিদের খুঁজতে গিয়ে নিহত বাংলার ছেলে, শোকে কাতর শহিদ ঝন্টুর পরিবার

২ মে প্রকাশিত হবে মাধ্যমিকে রেজাল্ট, বড় ঘোষণা পর্ষদের

ভুল ইঞ্জেকশনে প্রসূতির মৃত্যু, দুর্গাপুরে হাসপাতাল ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড

ধর্মপরিচয় দিয়ে মেধাতালিকা প্রকাশ করে বিতর্কে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার দুই বাংলাদেশি ও ভারতীয় দালাল

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর