নিজস্ব প্রতিনিধি: জগদ্দল কাণ্ডে পুলিশের (POLICE) তৎপরতায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ঘটনার পরের দিনই গ্রেফতার (ARREST) করা হয়েছিল এক অভিযুক্তকে। তারপর গত রবিবার তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৪ অভিযুক্তকে। এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জগদ্দল হত্যাকাণ্ডে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত গণেশ সাউ। এই কাণ্ডে জড়িত থাকায় গত ১৬ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল রিয়াজউদ্দিন আনসারি ওরফে কাল্লুকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয় আরও ৪ অভিযুক্তকে। গত রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল রোহিত যাদব ওরফে দোহি, রোহিত মাল্লা ওরফে ললি এবং পীযূষ সিং ওরফে মেবালাল, জৈনউদ্দিন ওরফে টইকে। তারপর মঙ্গলবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে গণেশ সাউ।
গত ১৫ জুলাই বাজারে খুন হয়েছিলেন চটকলের কর্মী রিজওয়ান আলি। রিজওয়ান ওরফে টিঙ্কু। মৃতের বয়স ২৬। তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। এরপর গত শনিবার ছিল স্থানীয় দোকানপাট বন্ধ। গত রবিবার তা একটু একটু করে খুলতে শুরু করে। রবিবার সকালে দোকান খোলা হচ্ছে দেখেই দুষ্কৃতীরা হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। হুমকি দিয়ে বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল, রিজওয়ান খুনের মূল নায়ক গ্রেফতার যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ বাজার বন্ধ রাখতে হবে। এরপরেই প্রতিবাদে নেমেছিলেন ব্যবসায়ীরা। করেছিলেন রাস্তা অবরোধও। তাঁদের দাবি ছিল, যারা হুমকি দিয়ে জোর করে বাজার বন্ধ রাখতে বলছে, তাদের গ্রেফতার করা হোক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর। উপস্থিত হয়েছিল জগদ্দল থানার পুলিশ। ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। এরপরে অবশ্য অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সাংসদ। সাংসদ ও পুলিশ কমিশনারের মধ্যে আলোচনাও হয় ওই দিন। স্থানীয়দের সাহস অর্জন করতে বলেছিলেন সাংসদ। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, সকলে দোকান খুলুন। সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করলে দুষ্কৃতীরা ভয় পাবে। জগদ্দলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিশেষ বিশেষ জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।