নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রমশই শান্ত ও স্বাভাবিক হয়ে উঠছে উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার সন্দেশখালি(Sandeshkhali)। আর তার মাঝেই রবি সকাল থেকে সেখানে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকারের বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচী(Public Relations Program)। এদিন রবিবার, অর্থাৎ ছুটির দিন। কিন্তু তারপরেও এদিন থেকেই সেই জনসংযোগ শুরু হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই জনসংযোগ কর্মসূচী। সেখানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জমিজমা সংক্রান্ত অভিযোগকে। পাশাপাশি মিলছে নানা সরকারি আর্থসামাজিক প্রকল্পের জন্য আবেদন করার সুযোগও। এর পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন ও তা খাতায় লিখে নিচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। আর সেখানেই উঠে আসছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। কেউ বলছেন রূপশ্রী পাননি, কেউ বলছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার পাননি, কেউ বলছেন কন্যাশ্রী পাননি। আবার অনেকে অভিযোগ তুলছেন যে আয়লার সময় ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তাঁরা কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি। অভিযোগ আছে বার্ধক্য ভাতা, কৃষকবন্ধু, বিধভা ভাতা, মৎস্যবন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন জানিয়েও তা না মেলার।
রবি সকালে সন্দেশখালির মাঝের পাড়ায় শুরু হয়েছে এই জনসংযোগ কর্মসূচী। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকাবাসীর মধ্যে সব থেকে বেশি অভিযোগ জমিজমা নিয়ে। কেননা অভিযোগ উঠেছে, শেখ শাহজাহান ও তার সাগরেদরা অনেকের কৃষিজমি জোর করে কেড়ে নিয়ে বা খুব কম দামে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করে তা ভেড়িতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এমনকি অনেকের এমনও অভিযোগ, জোর করে জমি দখল করে সেখানে ভেড়ি করে দেওয়া হয়েছে। অথচ তার জন্য এক পয়সাও দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই ৪০জনের নাম উঠে এসেছে যারা শাহজাহান বাহিনীর কাছে থেকে নানা পরিষেবা দেওয়ার জন্য লাখ লাখ টাকা পাবেন। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA) সুকুমার মাহাত(Sukumar Mahat) জানিয়েছেন, এদিনই এদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তৃণমূলের দলীয় তহবিল থেকেই তা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এদিন সন্দেশখালি যাচ্ছেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও আরেক মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সঙ্গে যাবেন হাজি নুরুল। এদিন তাঁরা সেখানে তৃণমূলের একটি কর্মীসভা করবেন। এই সভা ৩ মার্চের সভার প্রস্তুতি সভা হিসাবেই দেখা হচ্ছে।