এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কনটেনমেন্টের মেলা ৪ জেলায়! চিন্তায় পুজো উদ্যোক্তারা

নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজো চলে গিয়েছে, কিন্তু সামনেই আছে কালিপুজো আর জগদ্ধাত্রী পুজো। উত্তর ২৪ পরগনা যদি কালিপুজোর ঘাঁটি হয় তো হুগলি আর হাওড়া জগদ্ধাত্রী পুজোর ঘাঁটি। এই দুই জেলাতে কালিপুজোও যথেষ্ট পরিমাণে হয়। আর পরে তো আছে কলকাতাও। সেখানেও পাড়ায় পাড়ায় কালিপুজো আর জগদ্ধাত্রী পুজোর ধূম কিছু কম নয়। সেই আগত উৎসবকে ঘিরেই এখন চিন্তায় আছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কারন এই দুই পুজোতেও ঠাকুর দেখতে রাস্তায় নামবে মানুষ। বিশেষ করে কালিপুজোর সময় বারাসত, মধ্যমগ্রাম, দমদম, রাজারহাট, নৈহাটি জুড়ে যেমন জনতার ঢল নামবে তেমনি জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভিড় জমবে চন্দননগর, রিষড়া, অশোকনগর, বাউড়িয়াতে। সেই উৎসব প্রাক্কালে এখন রাজ্যের ৪টি জেলায় কোভিড ঠেকাতে প্রশাসনের ভরসা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের ওপরে। আর এই জোন ঘিরেই এখন কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের।

কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে তৎপর রয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সেই সূত্রেই রাজ্য সরকার এখন কড়াকড়ি করছে কোভিডের বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে। যেহেতু পুজো মিটতেই আবারও সংক্রমণ বাড়ছে তাই সেই সংক্রমণের দৈনিক হারকে হাজারের নীচে বেঁধে রাখতে রাজ্য সরকার এখন কনটেনমেন্ট জোন আর মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের ওপর ভরসা রাখছে। কলকাতা ও হাওড়ার ক্ষেত্রে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন এবং হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ক্ষেত্রে কনটেনমেন্ট জোন লাগু করা হচ্ছে। আর তাতেই চিন্তায় পড়েছেন কালিপুজো আর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্যোক্তারা। কেননা দেখা যাচ্ছে এই কনটেনমেন্ট লাগু হওয়ায় সেখানে ১৪ দিনের জন্য বিধিনিষেধ লাগু হয়ে যাচ্ছে। এদিকে সেই সময়সীমার মধ্যেই পড়ে গিয়েছে কালিপুজো আর জগদ্ধাত্রী পুজো। ফলে মণ্ডপ নির্মাণ থেকে পুজোর আয়োজন সবটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের।

চন্দননগর পুর-প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ১৬টি ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোনে পরিণত করা হয়েছে। ওই ১৬টি ওয়ার্ড মিলিয়ে খুব কম করেও ৬০টি বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেখানকার পুজো উদ্যোক্তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সামগ্রিকভাবে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজো হয় ১৭১টি। কিন্তু এবারে সেই সব পুজো করা নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন উদ্যোক্তারা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও বাড়ছে কোভিডের প্রকোপ। তার জেরে জেলা প্রশাসনের তরফে ৫৮টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এর জেরে সমস্যায় পড়েছে বারাসত, মধ্যমগ্রাম, রাজারহাট, দমদম ও নৈহাটির কালিপুজো উদ্যোক্তারা। কীভাবে পুজো হবে সেটাই ভেবেই এখন চিন্তিত তাঁরা। হাওড়া ও কলকাতার ছবিটাও প্রায় একই। সেখানেও প্রায় সব পাড়াতেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। আর তার জেরে সেই সব পাড়ার কালিপুজো আর জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। যদিও এই চার জেলার প্রশাসনের তরফ থেকেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কোথাও পুজো করতে বাধা দেওয়া হবে না। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ও কোভিডবিধি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিজেপিকে সমর্থনের শাস্তি, বিনয় তামাংকে দল থেকে তাড়াল কংগ্রেস

‘প্রথম দফায় মাথা ভেঙেছি, একেবারে শেষে বলো হরি, হরি বোল’, বিজেপিকে কটাক্ষ অভিষেকের

মেদিনীপুরে লাল ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় হলুদ সতর্কতা এবং ১১ জেলায় তাপপ্রবাহ জারি

‘কমিশনকে বলব বহরমপুরের ভোট যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়’, মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

ভোট যায় ভোট আসে, ভাঙ্গন কবলিত অঞ্চল একই থাকে

‘অভিষেককেও তো খুন করতে গিয়েছিলি, ধরে ফেলেছিলাম আমরা’, সরব মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর