নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর: দীর্ঘদিন ধরেই ব্যারাকপুরের লালকুঠি সংলগ্ন ঘোষপাড়া রোডের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ৫০০ মিটারের বেশি অংশে রাস্তাই নেই বললে চলে। এক বছরের বেশি সময় ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি। বিষয়টি কানে আসে ব্যারাকপুরের বিধায়ক তথা চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর। গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানে ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজও ছিলেন। সেদিন তিনিই বেহাল ঘোষপাড়া রোড ও নিকাশির অবস্থার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাতেই কাজ হল দ্রুত, দু’দিনের মাথায় ব্যারাকপুরের লালকুঠি এলাকায় ঘোষপাড়া রোড পরিদর্শন করল পূর্ত দফতর ও পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। এমনকি দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের আশ্বাসও দিয়েছেন পূর্ত দফতরের কর্তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ব্যারকপুর থেকে কাঁচড়াপাড়া পর্যন্ত এই ঘোষপাড়া রোড কার্যত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের লাইফলাইন। গুরুত্বপূর্ণ এই ঘোষপাড়া রোডে লালকুঠির কাছে বেশ কিছুটা অংশের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। স্থানীয়েদের দাবি, ভাঙাচোরা বললেও ভুল হবে। কার্যত রাস্তাই নেই ওই এলাকায়। রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্ত, সেগুলি পাশ কাটিয়ে কোনও রকমে যাতায়াত। অথচ লালকুঠি থেকে একদিকে যেমন কাঁচড়াপাড়া যাওয়া যায়, অন্যদিকে ওভার ব্রিজ ধরে চলে যাওয়া যায় কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়ে বা বারাসত। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ওই মোড়ে বেহাল রাস্তায় ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয় মানুষ ও পথচলতি মানুষজনের। অনেকেই রাজ চক্রবর্তীর কাছে নালিশ করেন রাস্তা নিয়ে। বুধবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সরাসরি অভিযোগ জানান। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। শুক্রবারই এই এলাকা পরিদর্শন করেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং পূর্ত দফতরের কর্তারা।