কোন হকের কথা বলছেন আব্বাস, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ! প্রশ্ন বাংলার
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেউ বলছেন কাঁচা মাথার কথা। কেউ বা বলছেন মুখ ফস্কে সত্যি কথা বলে দিয়েছে। আবার কেউ বলছেন রাজনীতির জগতে পা রেখেই ভুল বার্তা। ঘটনা যাই হোক না কেন এখন বাংলা জুড়ে সবার একটাই প্রশ্ন, কোন হকের কথা বলছেন আব্বাস? ধর্মের ভিত্তিতে তাহলে কী ওরা আবারও দেশভাগ চাইছে? বাংলা একবার ভাগ হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে, আবারও কী আব্বাস ভাগ করতে চাইছে পশ্চিমবাংলাকে ধর্মের ভিত্তিতে? ৪৬ আবারও কী ফিরে আসবে বাংলার বুকে? আর তাতে সমর্থন যোগাচ্ছে কী বামেরা? এত প্রশ্ন ঘুরছে গতকাল দুপুর থেকেই। প্রশ্ন ঘর পোড়া বাঙালির! প্রশ্ন সর্বহারা বাঙালির! প্রশ্ন ভিটেছাড়া দেশহারা বাঙালির। কেননা ২৪ ঘন্টা আগেই রবি দুপুরে ভরা ব্রিগেডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলারই এক সংখ্যালঘু নেতা আব্বাস সিদ্দিকি সদম্ভে ঘোষণা করেছেন, 'আমরা ভাগ চাইতে এসেছি। তোষণ করতে নয়। বাবাসাহেব বলেছিলেন ভিক্ষে করে কিছু মেলে না। হক বুঝে নিতে হয়।' আর তাই বাঙালির প্রশ্ন, কোন হকের আর কোন ভাগের কথা বলছেন আব্বাস? তাহলে কী দাঙ্গা লাগিয়ে আরও একটা বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র চলছে আব্বাসের ঘরে? আর তাতে মদত যোগাচ্ছে বামেরা!
সন্দেহ নেই রবিবারের ব্রিগেড কানায় কানায় উপচে পড়েছে আব্বাস সমর্থকদের দৌলতেই। আর সেই ভরা ব্রিগেড থেকেই বার বার আব্বাসের নামে গর্জন উঠে এসেছে মঞ্চের দিকে। কিন্তু আব্বাস যে বক্তব্য রেখেছেন সেই ব্রিগেডের মঞ্চে তা নিয়েই এখন কাঁটাছেঁড়া শুরু হয়েছে নানামহলে। তার মধ্যে সব থেকে বেশি চর্চা চলছে আব্বাসের 'হক' আর 'ভাগ' নিয়েই। পরিস্থিতি এমন জায়গাতেই গিয়েছে যে বেশ কিছু বামনেতা এখন হাত কামড়াচ্ছেন আব্বাসের সঙ্গে জোট করা নিয়ে। অনেকেই মনে করছেন মমতাকে ঠেকাতে গিয়ে বামেরা এমন এক সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলালো যারা বাংলা ভাগের দাবি তুলে দিল ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে। আর সেই ভাগ আবার ধর্মের ভিত্তিতে। এটাই যদি ভবিতব্য হয় তাহলে বামেরা আর কোন ভোর আনবেন বাংলার বুকে? শেষে তাঁরাও কী হবেন দেশ ভাগের দাবিদার, তাও ধর্মের ভিত্তিতে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, ব্রিগেডের সভায় আব্বাসের দাবি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। দিন যত গড়াবে আরও ভয়ানক ভয়ানক সব কথাবার্তা আর দাবিদাওয়া উঠে আসবে আব্বাসদের তরফে। বামেরা সময় থাকতে দূরত্ব না বাড়ালে অনেক বড় বদনামের ভাগীদার হয়ে যাবে।
বামেরা আব্বাসীর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে মাথা না ঘামালেও প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের ভাবতে হচ্ছে। কার্যত বিধানভবনের কোনও নেতাই এখন আর চান না আব্বাসের সঙ্গে কোনও জোটে যেতে। প্রয়োজনে বামেদের ছেড়ে একলা লড়াই করার পক্ষপাতী তাঁরা। আব্বাস যেভাবে 'ভাগ' আর 'হক'র কথা বলেছেন তা ভালো চোখে দেখছে না কংগ্রেসও। তাঁদের অনেকেরই অভিমত, দাঙ্গা বাঁধিয়ে বাংলা ভাগের ফন্দি নিয়ে আব্বাস যদি বাংলার বুকে রাজনীতি করতে নামে তাহলে মস্ত বড় ভুল করবে। ছেড়ে কথা কেউই বলবে না। কংগ্রেস কখনই এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মেনে নেবে না আর বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রকে সমর্থনও করবে না। প্রয়োজনে বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়বে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১০টি আসন দাবি করা হয়েছে বামেদের কাছ থেকে। সেই দাবি কতখানি মেটে সেটা দেখার বিষয়। যদি সেই দাবি মেটে তো বাম-কংগ্রেস জোট হবে, নাহলে নয়। তবে আব্বাসের সঙ্গে জোট একদমই নয়।
সন্দেহ নেই রবিবারের ব্রিগেড কানায় কানায় উপচে পড়েছে আব্বাস সমর্থকদের দৌলতেই। আর সেই ভরা ব্রিগেড থেকেই বার বার আব্বাসের নামে গর্জন উঠে এসেছে মঞ্চের দিকে। কিন্তু আব্বাস যে বক্তব্য রেখেছেন সেই ব্রিগেডের মঞ্চে তা নিয়েই এখন কাঁটাছেঁড়া শুরু হয়েছে নানামহলে। তার মধ্যে সব থেকে বেশি চর্চা চলছে আব্বাসের 'হক' আর 'ভাগ' নিয়েই। পরিস্থিতি এমন জায়গাতেই গিয়েছে যে বেশ কিছু বামনেতা এখন হাত কামড়াচ্ছেন আব্বাসের সঙ্গে জোট করা নিয়ে। অনেকেই মনে করছেন মমতাকে ঠেকাতে গিয়ে বামেরা এমন এক সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলালো যারা বাংলা ভাগের দাবি তুলে দিল ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে। আর সেই ভাগ আবার ধর্মের ভিত্তিতে। এটাই যদি ভবিতব্য হয় তাহলে বামেরা আর কোন ভোর আনবেন বাংলার বুকে? শেষে তাঁরাও কী হবেন দেশ ভাগের দাবিদার, তাও ধর্মের ভিত্তিতে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, ব্রিগেডের সভায় আব্বাসের দাবি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। দিন যত গড়াবে আরও ভয়ানক ভয়ানক সব কথাবার্তা আর দাবিদাওয়া উঠে আসবে আব্বাসদের তরফে। বামেরা সময় থাকতে দূরত্ব না বাড়ালে অনেক বড় বদনামের ভাগীদার হয়ে যাবে।
বামেরা আব্বাসীর বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে মাথা না ঘামালেও প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের ভাবতে হচ্ছে। কার্যত বিধানভবনের কোনও নেতাই এখন আর চান না আব্বাসের সঙ্গে কোনও জোটে যেতে। প্রয়োজনে বামেদের ছেড়ে একলা লড়াই করার পক্ষপাতী তাঁরা। আব্বাস যেভাবে 'ভাগ' আর 'হক'র কথা বলেছেন তা ভালো চোখে দেখছে না কংগ্রেসও। তাঁদের অনেকেরই অভিমত, দাঙ্গা বাঁধিয়ে বাংলা ভাগের ফন্দি নিয়ে আব্বাস যদি বাংলার বুকে রাজনীতি করতে নামে তাহলে মস্ত বড় ভুল করবে। ছেড়ে কথা কেউই বলবে না। কংগ্রেস কখনই এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মেনে নেবে না আর বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রকে সমর্থনও করবে না। প্রয়োজনে বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়বে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১০টি আসন দাবি করা হয়েছে বামেদের কাছ থেকে। সেই দাবি কতখানি মেটে সেটা দেখার বিষয়। যদি সেই দাবি মেটে তো বাম-কংগ্রেস জোট হবে, নাহলে নয়। তবে আব্বাসের সঙ্গে জোট একদমই নয়।
More News:
20th April 2021
20th April 2021
20th April 2021
20th April 2021
20th April 2021
Leave A Comment