কার নির্দেশে টহল, প্রশ্ন উঠছে বঙ্গে! চুপ নবান্ন
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে শেষবার যখন এসেছিলেন তখন তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পরেই বাংলায় পা রাখবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও সেই কথা কিন্তু মেলেনি। বস্তুত ভোট ঘোষণার আগেই বাংলায় পা রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১২ কোম্পানি বাহিনী ইতিমধ্যেই চলে এসেছে, আরও ১১৩ কোম্পানি বাহিনী চলতি মাসেই ধাপে ধাপে চলে আসবে এই রাজ্যে। সেই সঙ্গে এটাও শোনা যাচ্ছে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় মোট ৮০০ কোম্পানি বাহিনী মাঠে নামাবে নির্বাচন কমিশন। এত বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলার বুকে এর আগে কোনওদিনই আসেনি। ২০১১ সালে পরিবর্তনের সময়েও মেলেনি এত বাহিনী। প্রশ্ন এই নিয়ে নয়, প্রশ্ন আজ উঠেছে বাংলার প্রশাসনিক মহলে যে ভোট ঘোষণার আগে বাংলায় আসা কেন্দ্রিয় বাহিনী কার নির্দেশে টহলদারীর কাজ শুরু করেছে। যদিও নবান্ন থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্যের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও কথাই হয়নি নির্বাচন কমিশনের।
গতকাল থেকেই বীরভূমের নলহাটি ও পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে টহলদারির কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যদিও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের কাছে এই নিয়ে কোনও চিঠিও দেয়নি নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযগ না করেই এলাকায় টহলদারিতে বেড়িয়ে পড়েছে। তা নিয়ে কারোর কোনও সমস্যার কথা এখনও সামনে আসেনি। কিন্তু প্রশ্ন কার নির্দেশে এই টহলদারী, সেই উত্তর কিন্তু মেলেনি। নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসে বলে গিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাস্তবে কিন্তু সেই তথ্য মিলছে না। নলহাটি ও পটাশপুর দুই জায়গাতেই পুলিশ প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা টহল দিতে বেড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা গ্রামের মানুষদের সঙ্গেও কথা বলছেন। এমনিতেই অভিযোগ উঠেছে যে সব এলাকা থেকে বিজেপি ফায়দা পেতে পারে সেই জায়গায় বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছে। আর এখন সেই বিতর্কে যোগ হয়েছে, কার নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই টহলদারী। যেহেতু ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি। রাজ্য প্রশাসন তথা রাজ্য সরকারই এখন আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখছে সেখানে কেন রাজ্য প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে বা তাঁদের না জানিয়ে এই টহলদারি শুরু হয়েছে, সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠে গিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরের পাশাপাশি আমজনতা ও রাজনৈতিক মহলেও।
তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কার্যত এই বিষয়টি নিয়ে এখনই জলঘোলা করতেও নারাজ রাজ্য প্রশাসন। যতক্ষন না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের টহলদারি নিয়ে কোনও ঘটনা বা সমস্যা সামনে না আসছে ততক্ষন বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে চাইছে না নবান্ন। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোথায় কী করছেন, তাঁদের থাকা খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা তা দেখছে রাজ্য প্রশাসন। কোনও রাজনৈতিক দল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে এখনও পর্যন্ত কোনও আপত্তি তোলেননি। তবে বিজেপির নেতানেত্রীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারিতে খুব খুশি। তাঁরা এখন প্রকাশ্যেই জানাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারিতে সাধারন মানুষ ভরসা পাবে। তাঁরা ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে আরও একটি পরিবর্তনের জন্য ভোট দিতে পারবেন। যদিও সে কথা শুনে হাসছেন অনেকেই। বিজেপি অবশ্য আশায় আছে, জয় এবার আসবেই। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অধুনা বিজেপি নেতা অনুপম হজরা তো বলেই দিয়েছেন, খেলা হবে নলের মুখে।
গতকাল থেকেই বীরভূমের নলহাটি ও পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে টহলদারির কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যদিও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের কাছে এই নিয়ে কোনও চিঠিও দেয়নি নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযগ না করেই এলাকায় টহলদারিতে বেড়িয়ে পড়েছে। তা নিয়ে কারোর কোনও সমস্যার কথা এখনও সামনে আসেনি। কিন্তু প্রশ্ন কার নির্দেশে এই টহলদারী, সেই উত্তর কিন্তু মেলেনি। নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসে বলে গিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাস্তবে কিন্তু সেই তথ্য মিলছে না। নলহাটি ও পটাশপুর দুই জায়গাতেই পুলিশ প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা টহল দিতে বেড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা গ্রামের মানুষদের সঙ্গেও কথা বলছেন। এমনিতেই অভিযোগ উঠেছে যে সব এলাকা থেকে বিজেপি ফায়দা পেতে পারে সেই জায়গায় বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছে। আর এখন সেই বিতর্কে যোগ হয়েছে, কার নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই টহলদারী। যেহেতু ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি। রাজ্য প্রশাসন তথা রাজ্য সরকারই এখন আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখছে সেখানে কেন রাজ্য প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে বা তাঁদের না জানিয়ে এই টহলদারি শুরু হয়েছে, সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠে গিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরের পাশাপাশি আমজনতা ও রাজনৈতিক মহলেও।
তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কার্যত এই বিষয়টি নিয়ে এখনই জলঘোলা করতেও নারাজ রাজ্য প্রশাসন। যতক্ষন না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের টহলদারি নিয়ে কোনও ঘটনা বা সমস্যা সামনে না আসছে ততক্ষন বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে চাইছে না নবান্ন। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোথায় কী করছেন, তাঁদের থাকা খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা তা দেখছে রাজ্য প্রশাসন। কোনও রাজনৈতিক দল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে এখনও পর্যন্ত কোনও আপত্তি তোলেননি। তবে বিজেপির নেতানেত্রীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারিতে খুব খুশি। তাঁরা এখন প্রকাশ্যেই জানাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারিতে সাধারন মানুষ ভরসা পাবে। তাঁরা ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে আরও একটি পরিবর্তনের জন্য ভোট দিতে পারবেন। যদিও সে কথা শুনে হাসছেন অনেকেই। বিজেপি অবশ্য আশায় আছে, জয় এবার আসবেই। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অধুনা বিজেপি নেতা অনুপম হজরা তো বলেই দিয়েছেন, খেলা হবে নলের মুখে।
More News:
2nd March 2021
1st March 2021
1st March 2021
1st March 2021
1st March 2021
1st March 2021
1st March 2021
1st March 2021
Leave A Comment