নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ কুড়ি মাস পর খুলেছে স্কুলের দরজা। এর মাঝেই ফের আতঙ্কের খবর পাওয়া গিয়েছে নদিয়া থেকে। ফের এক স্কুলে হানা দিয়েছে মারণভাইরাস। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নদিয়ার কল্যাণীতে একটি স্কুলেই করোনায় আক্রান্ত ২৯ জন পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণীর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই সর্দি ও জ্বর নিয়ে স্কুলে আসেন কিছু পড়ুয়া। সন্দেহ বশত ৩০০ পড়ুয়ার আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়। যার মধ্যে ২৯ জনের শরীরে মেলে মারণভাইরাস। করোনায় আক্রান্ত ২৯ জন পড়ুয়ার নমুনা জিনোম টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। কারণ ওমিক্রন আতঙ্ক রয়েছে বঙ্গে। তাই ঢিলেমি না করেই করোনা আক্রান্তদের জিনোম টেস্টও করে রাখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
বাকি পড়ুয়াদের নজরদারিতেই রাখা হয়েছে বলে স্কুলের তরফে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে এতজন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হলেন? ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী নাগ বলেছেন, ‘স্কুল খোলার পর ৭ ডিসেম্বর ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। দূর দূরান্ত থেকে অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। এর সাত দিনের মধ্যেই স্কুলের দুই পড়ুয়ার মধ্যে জ্বর, সর্দির মতো করোনার বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায়। তবে কোনও অভিভাবকের থেকেই করোনা ছড়িয়েছে, এই বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।’ স্কুল খোলা হবে কিনা সেই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ‘স্কুল খোলা রাখা হবে নাকি বন্ধ রাখা হবে, এই সিদ্ধান্ত আমার হাতে নেই। বুধবারও ক্লাস হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলে তা জানানো হবে।’
বাকি পড়ুয়াদের অভিভাবকরা এই ঘটনায় বেশ আতঙ্কে রয়েছেন। তাদের তরফে স্কুলে সন্তানদের পাঠানো নিয়ে দ্বিধাবোধ দেখা গিয়েছে। যদিও বুধবার পর্যন্ত ক্লাস হয়েছে ওই স্কুলে।