নিজস্ব প্রতিনিধি: বছরে মাত্র দুটো দিন। দুই বাংলার(Bengal) সীমান্তে জড়ো হন দুই দেশের মানুষ। কাছাকাছি যাওয়া যায় না, তবে দূর থেকে দেখা মেলে। হাত নেড়ে ফোনে কথা বলে স্বজনদের দেখে মনে শান্তি আর আনন্দ দুটোই খুঁজে পান তাঁরা। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ঈদের সকালেও তার ব্যতিক্রম হল না। দুই দেশের সীমানায়(Border) ভিড় জমালেন দুই বাংলার মানুষ। ঘটনাস্থল উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সদর মহকুমার হিলি(Hilli) ব্লকের হিলি-ফুলবাড়ি চেকপোস্ট। দুর্গাপুজোর বিজয়া দশমী ও ঈদ, এই দুই দিনই সীমানের চেকপোস্টে দূরত্ব রেখে ভিড় জমান দুই বাংলার মানুষদের স্বজনদের চোখে দেখার উদ্দেশ্যে।
এদিন হিলি-ফুলবাড়ি চেকপোস্টে জড়ো হয়েছিলেন দুই বাংলার প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ। যদিও তাঁদের মধ্যে ছিল কাঁটা তারের বেড়া। তাই কাছাকাছি গিয়ে কথা বলা না গেলেও দূর থেকে স্বজনদের দেখে শান্তি খুঁজে পেয়েছেন অনেকেই। কয়েক দশক ধরেই এই রীতি চলে আসছে হিলি সীমান্তে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের সামনেই চলে সেই মিলন উৎসব। খালি অনুমতি থাকে না কাছে গিয়ে কথা বলার। এদিনও দেখা গেল, সীমান্তে জড়ো হওয়া দুই বাংলার মানুষ স্বজনদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়েছেন, চোখে চোখ রেখে ফোনে কথা বলেছেন। অনেককেই দেখা গেল সীমানা ঘেঁষে চলে যাওয়া রেল লাইনে সেলফি তুলছেন। কেউ দূর থেকে দাঁড়িয়ে স্বজনদের সঙ্গে ইশারায় কথা বলছেন। বড়দের সঙ্গে ছোটরাও শামিল হয়েছেন এই ভিড়ে। তবে ভিড় বেশি তরুণ প্রজন্মের। তবে সবই চলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের কড়া নজরদারির মধ্যে। দুই বাংলার মানুষই কিন্তু চান, বছরের এই দুইদিন সীমান্তে ছাড় দেওয়া হোক দুই বাংলার মানুষকে। কাছাকাছি গিয়ে কথা বলতে দেওয়া হোক তাঁদের।