শাঁখের করাতে পা রেখে বিজেপির পথেই শুভেন্দু! আজ বৈঠকে ভাগবত
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি: ইস্তফা তিনি দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীসভা থেকে। ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তাও। জেট ক্যাটাগরির নিরাপত্তা আর পাইলট কার দুটিই তিনি ফিরিয়েছেন। ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন ও হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান পদ থেকেও। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামিকালই তিনি পা বাড়াচ্ছেন দিল্লির পথে। আগামী সপ্তাহেই হতে পারে তাঁর বিজেপিতে যোগদান। তিনি শুভেন্দু অধিকারী। কার্যত শাঁখের করাতে পা রেখেই তিনি যোগ দিতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে। সেই যোগদানের আগেই এদিন বিকালে তিনি কলকাতা বিমানবন্দরেই বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রবীণ আরএসএস নেতা মোহন ভাগবতের সঙ্গে। তবে এদিন শুভেন্দুকে ধাক্কা দিয়েছে খোদ অধিকারী পরিবার। শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন দল তাঁরা ছাড়ছেন না। সাংসদ পদ থেকেও তাঁরা ইস্তফা দিচ্ছেন না। কাজেই আগামী দিনে বিজেপি যে শুভেন্দুর কাছে শাঁখের করাত হয়ে উঠবে সেটা হলফ করে বলা যায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে শাঁখের করাতের কথাটি আসছে কেন! বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে অমিত শাহের উপস্থিতিতেই দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে নেবেন শুভেন্দু। কিন্তু নন্দীগ্রাম গণআন্দোলনের গণনায়কের এই গেরুয়া শিবিরে যোগদান এখন তৃণমূলের তো বটেই তাঁর অতিবড় ঘনিষ্ঠজনেরাও মেনে নিতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির তৃণমূল সাংসদ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন তিনি দল ছাড়ছেন না। তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। একই কথা জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী যিনি তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। শুভেন্দুর অনুগামী বলে যারা পরিচিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে ২-১জন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা তৃণমূলেই থাকছেন। তাঁদের মধ্যে যেমন মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন রয়েছেন ঠিক তেমনি রয়েছে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলও। এবার সেই তালিকায় ঢুকে গেলেন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীও। তাই শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করলে তাঁর নিজস্ব অনুগামীদের তাঁর সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে উঠতে চলেছে। অনেকেই মনে করছেন শুভেন্দু নিজে বিজেপিতে গেলেও তাঁর অনুগামীদের একটা বড় অংশই থেকে যাবে তৃণমূলে।
সব থেকে বড় প্রশ্ন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে কী অবস্থান হবে শুভেন্দু অধিকারীর। মুর্শিদাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির আর পাঁচটা নেতার মতো সংখ্যালঘুদের বাংলা থেকে বিতাড়নের হুমকি দিতে পারবেন তো! উত্তর দিনাজপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এনআরসি আর সিএএ লাগু করার পক্ষে সাওয়াল করতে পারবেন তো! সিপিএমের যে সব হার্মাদ নেতা জার্সি বদলে গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছেন তাঁদের সঙ্গে একমঞ্চে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে পারবেন তো! বাংলার সংখ্যালুঘু ভাইবোনদের মেরেধরে তাড়াবার-তাঁদের ধর্ষণ করার হুমকি ধমকি দিতে পারবেন তো! দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পালেরা যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে যে বিষ বাক্যে বাংলাকে অপমান করে চলেছেন সেই ভাষাতেই কথা বলতে পারবেন তো শুভেন্দু অধিকারী! বিজেপি কিন্তু তাঁকে দিয়ে এসব করাবে। গেরুয়া শিবিরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁকে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বার্তা দিতেই হবে। এনআরসি এবং সিএএ’র পক্ষে গলা ফোলাতেই হবে। তখন তাঁর ‘মুক্তিসূর্য’র ভাবমূর্তি বজায় থাকবে তো! শেষে বিজেপিতে যোগদান তাঁরা রাজনৈতিক জীবনের সব থেকে বড় ভুল পদক্ষেপ হয়ে না থেকে যায়! সবাই কিন্তু মনে করছেন শুভেন্দু শাঁখের করাতে পা রেখে বিজেপিতে যাচ্ছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে শাঁখের করাতের কথাটি আসছে কেন! বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে অমিত শাহের উপস্থিতিতেই দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে নেবেন শুভেন্দু। কিন্তু নন্দীগ্রাম গণআন্দোলনের গণনায়কের এই গেরুয়া শিবিরে যোগদান এখন তৃণমূলের তো বটেই তাঁর অতিবড় ঘনিষ্ঠজনেরাও মেনে নিতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির তৃণমূল সাংসদ ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন তিনি দল ছাড়ছেন না। তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। একই কথা জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী যিনি তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। শুভেন্দুর অনুগামী বলে যারা পরিচিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে ২-১জন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা তৃণমূলেই থাকছেন। তাঁদের মধ্যে যেমন মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন রয়েছেন ঠিক তেমনি রয়েছে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলও। এবার সেই তালিকায় ঢুকে গেলেন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীও। তাই শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করলে তাঁর নিজস্ব অনুগামীদের তাঁর সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন কিনা সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে উঠতে চলেছে। অনেকেই মনে করছেন শুভেন্দু নিজে বিজেপিতে গেলেও তাঁর অনুগামীদের একটা বড় অংশই থেকে যাবে তৃণমূলে।
সব থেকে বড় প্রশ্ন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে কী অবস্থান হবে শুভেন্দু অধিকারীর। মুর্শিদাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির আর পাঁচটা নেতার মতো সংখ্যালঘুদের বাংলা থেকে বিতাড়নের হুমকি দিতে পারবেন তো! উত্তর দিনাজপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এনআরসি আর সিএএ লাগু করার পক্ষে সাওয়াল করতে পারবেন তো! সিপিএমের যে সব হার্মাদ নেতা জার্সি বদলে গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছেন তাঁদের সঙ্গে একমঞ্চে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে পারবেন তো! বাংলার সংখ্যালুঘু ভাইবোনদের মেরেধরে তাড়াবার-তাঁদের ধর্ষণ করার হুমকি ধমকি দিতে পারবেন তো! দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পালেরা যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে যে বিষ বাক্যে বাংলাকে অপমান করে চলেছেন সেই ভাষাতেই কথা বলতে পারবেন তো শুভেন্দু অধিকারী! বিজেপি কিন্তু তাঁকে দিয়ে এসব করাবে। গেরুয়া শিবিরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁকে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বার্তা দিতেই হবে। এনআরসি এবং সিএএ’র পক্ষে গলা ফোলাতেই হবে। তখন তাঁর ‘মুক্তিসূর্য’র ভাবমূর্তি বজায় থাকবে তো! শেষে বিজেপিতে যোগদান তাঁরা রাজনৈতিক জীবনের সব থেকে বড় ভুল পদক্ষেপ হয়ে না থেকে যায়! সবাই কিন্তু মনে করছেন শুভেন্দু শাঁখের করাতে পা রেখে বিজেপিতে যাচ্ছেন।
More News:
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
মানুষের ছ'কোটি মেরেছে শুভেন্দু, চিঠি হাতিয়ার করে তোপ অভিষেকের
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খুলবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীই
23rd January 2021
সারা জীবন উৎসর্গ করেও যোগ্য সম্মান পাননি নেতাজি, মুখ খুললেন অনিতা পাফ
23rd January 2021
23rd January 2021
Leave A Comment