এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

WEB Ad_Valentine



মুকুলের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর হাতিয়ার নির্মলের চিঠি



নিজস্ব প্রতিনিধি: কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হয়েছেন মুকুল রায়। এরপরে তিনি চলে এসেছেন তৃণমূল শিবিরে। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে পা রেখেছেন শুভ্রাংশু রায়ও। মুকুল পুত্র সরাসরি তৃণমূলে যোগ দিলেও মুকুল এক্ষেত্রে তা করেননি। তবে এখন তিনি রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান। সেই মুকুলের বিরুদ্ধেই বিজেপি দলত্যাগের অভিযোগ তুলে তাঁর বিধায়ক পদ বাতিল করার অভিযোগ তুলেছে। সেই অভিযোগের শুনানিও শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। বৃহস্পতিবার ছিল সেই অভিযোগের চতুর্থ দিনের শুনানি। সেই শুনানিতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাজির থাকলেও গরহাজির ছিলেন খোদ মুকুল রায়। আর তাঁর সেই অনুপস্থিতির জেরেই বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ এদিন চিঠি দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এই চিঠিকেই এখন মুকুলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে উঠে পড়ে লেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বৃহস্পতিবার দুপুর একটা নাগাদ বিধানসভায় অধ্যক্ষের ঘরে পৌঁছান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে আরও কায়েকজন বিজেপি বিধায়ক ও গেরুয়া শিবিরের আইনজীবীরাও ছিলেন। সেখানে এদিন মিনিট ৩০ ধরে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়টি নিয়ে শুনানি চলে। সেই সময়েই তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে জানান যে, মুকুল অসুস্থতার কারণে এদিন শুনানিতে যোগ দিতে পারছেন না। এরপরে অধ্যক্ষ্য আগামী শুনানির দিন হিসেবে ১২ নভেম্বর ধার্য করেন। কিন্তু নির্মলের এই চিঠি নিয়েই পরে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, মুকুলের হয়ে নির্মল ঘোষ কেন চিঠি দেবেন? এতেই তো প্রমাণ হয়ে যায় মুকুল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই দলের তরফে অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত মুকুলের অসুস্থতার খবর জানিয়ে চিঠি দেওয়া হলেও তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি কেন জমা দেওয়া হল না? তৃতীয়ত, মুকুল নিজে আসতে না পারলেও চিঠি দিয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। তাঁর হয়ে চিঠি দিলেন নির্মল। এতেও প্রমাণিত হয় মুকুল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই দ্রুত তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া উচিত।

একই সঙ্গে বিজেপির তরফে এবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আইনি পথে এগোনোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। বিজেপির দাবি, মণিপুর বিধানসভার একটি দলত্যাগ-বিরোধী মামলায় আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিধানসভার স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিজেপি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।  স্পিকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না নিলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে চলতি মাসেই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বিজেপি। আর শুধু মুকুল নয়, বিজেপি ত্যাগী বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস ও কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্যও তাঁরা এই পদ্ধতিই অবলম্বন করবেন। বিজেপির আশা এই পথে হাঁটা দিলে এই দলত্যাগ করা বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ হবে। যদিও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ৪জনের বিধায়ক পদ খারিজ হলেও তাঁরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নয়। কেননা বিধায়ক পদ খারিজ হলে আজ না হয় কাল উপনির্বাচন হবে ওই সব আসনে। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচবনে মুখ থুবড়ে পড়ার পড়ে বিজেপির পক্ষে ওই সব আসনে জয় পাওয়া কার্যত অসম্ভব। বরঞ্চ তৃণমূলই ওই সব আসনে জয়ী হবে। বিধানসভায় বিজেপির শক্তিক্ষয় হবে।



Published by:

Koushik Dey Sarkar

Share Link:

More Releted News:

৪৫০ টাকায় বাসে চেপে দেখে ফেলুন শহর-শহরতলীর বিখ্যাত পুজো

‘এই তদন্ত সারদার মতো হবে না তো!’, রায় থেকে বাদ মন্তব্য, রদ জরিমানাও

বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সীমান্ত পেরিয়ে এপারে বাংলাদেশের ইলিশ

উত্তরবঙ্গের ৮ লোকসভা কেন্দ্রে যুব তৃণমূলের বিশেষ কর্মসূচি

ঋণ পরিশোধে অক্ষম, আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন পূর্ব বর্ধমানের দম্পতি

উত্তপ্ত খেজুরি, তৃণমূল কর্মীদের মারধর-হুমকির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর