নিজস্ব প্রতিনিধি,মুর্শিদাবাদ ও পেট্রাপোল :বিপুল পরিমাণ রুপা সহ গ্রেফতার এক যুবক। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থানা এলাকার ঘটনা। সোমবার রাতে রাজ্য সড়কের ওপর তল্লাশি অভিযানের সময় ডোমকলের দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বেসরকারি বাসে তল্লাশি চালায় জলঙ্গী থানার(Jalangi P.S.) পুলিশ। সেই সময় এক যুবক কাপড়ের তৈরি বেল্টের মধ্যে রুপা পাচারের চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ১২ কেজি রুপা সহ ৪৮ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করে। এরপর ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়,ওই যুবকের নাম সেলিম সেখ,তার বাড়ি জলঙ্গীর দক্ষিণ ঘোষপাড়া এলাকায়। কি উদ্দেশ্যে,কোথা থেকে কোথায় এতো বিপুল পরিমাণ রুপা(Sliver) নিয়ে যাচ্ছিল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি নির্দিষ্ট আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে তাকে মঙ্গলবার জেলা আদালতে পেশ করা হয়। যুবকের সঙ্গে এই চক্রে আর কারা যুক্ত আছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে, চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যার্থ হল । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৩১.০৭ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪ টি সোনার বিস্কুট সহ একজন পাচারকারী আটক । বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা ৪৯৫.২৩০ গ্রাম ওজনের ৪টি সোনার বিস্কুটসহ একজন পাচারকারী কে আটক করেছে । আটক করা সোনার বিস্কুটের আনুমানিক মূল্য ৩১,০৭,৫৬৮/- টাকা।তথ্য অনুযায়ী, সীমান্ত চৌকি পেট্রাপোলে এক মহিলা যাত্রীকে থামানো হয়। তার অনুসন্ধানের সময়, মেটাল ডিটেক্টর তার শরীরের নীচের অংশে কিছু ধাতব পদার্থের উপস্থিতি নির্দেশ করে। সঙ্গে সঙ্গে মহিলা যাত্রীকে পুঙ্খানুপুঙ্খ চেকআপের জন্য নিয়ে যান। এরপর তার কাছ থেকে গোপনাঙ্গে লুকিয়ে থাকা ৪টি সোনার বিস্কুট(Gold Biscuits) উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণ বিস্কুটসহ ওই নারীকে আটক করেন নারী রক্ষীরা।গ্রেফতার ধৃত যাত্রী হলেন নার্গিস আক্তার (২৭ বছর), আব্দুল সাত্তার খানের মেয়ে, গ্রাম- দক্ষিণ চাকদো, চাকধা বাজার, থানা নড়িয়া, জেলা ঢাকা, বাংলাদেশ।জিজ্ঞাসাবাদে সে ঢাকার লালবাগে মাসুদের কাছ থেকে সোনার বিস্কুট নিয়েছিল বলে জানায়।
স্বর্ণ সংগ্রহের পর লালবাগা বাজারে(Lalbaga Market) তার গোপনাঙ্গে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে রাখেন তিনি। তিনি আরও জানান যে, তিনি এই সোনার বিস্কুটগুলি অজানা ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেবেন এবং এই কাজের জন্য ৫০০০ টাকা পাবেন। কিন্তু আইসিপি পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময় তল্লাশি পয়েন্টে তাকে তল্লাশি করে তার গোপনাঙ্গে লুকিয়ে রাখা সোনার বিস্কুটসহ ধরা পড়ে।আটক ব্যক্তি ও জব্দকৃত মালামাল পেট্রাপোল কাস্টমস(Customs) অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে সামান্য টাকার প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। কুখ্যাত পাচারকারী চক্র সরাসরি চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত নয়, তাই তারা দরিদ্র মানুষকে টার্গেট করে। সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে প্রশাসনের আবেদন তারা যদি সোনার চোরাচালান সম্পর্কিত কোনও তথ্য পান তবে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯-এ এই তথ্য দিতে পারেন। এছাড়াও সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার আরেকটি হেল্পলাইন নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭জারি করেছে। স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজও পাঠানো যেতে পারে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে পুরষ্কার হিসাবে উপযুক্ত পরিমাণ দেওয়া হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।