নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: বিষধর বা যে কোনও সাপ লোকালয়ে দেখতে পেলেই ডাক পড়ত বঙ্কিম স্বর্ণকারের। লোকালয় থেকে সাপ উদ্ধার করে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসাটাই তাঁর নেশা ছিল। মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার শোভানগরের বাসিন্দা বঙ্কিমের পরিচয়ও ছিল সর্পপ্রেমী হিসাবে। মঙ্গলবারও বিষধর সাপ ধরার জন্য ডাক এসেছিল পুখুরিয়া থেকে। কিন্তু সেই সাপটি বশে আনতে পারলেন না বঙ্কিম। শেষমেষ ওই সাপের ছোবলেই মৃত্যু ঘনিয়ে এল।
শোভানগর, মিল্কি, পুখুরিয়া, আড়াইডাঙ্গা, মানিকচক-সহ ইংরেজবাজার পাশ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় যে কারও বাড়িতে বিষধর সাপ দেখতে পেলেই ফোন যেত বঙ্কিমের কাছে। ফোন পেয়ে হাতে স্টিক নিয়ে সাপ ধরতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেত বঙ্কিম। নিজস্ব কায়দায় সাপকে বশে আনতে পারতেন তিনি। সাপ উদ্ধার করে প্ল্যাস্টিক ব্যাগে ভরে তা গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসতেন তিনি। কিন্তু এদিন আর সাপ ধরতেই পারলেন না তিনি। বরং উল্টে সাপের ছোবল খেতে হল। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পুখুরিয়ার একটি বাড়িতে বিষধর সাপ ঢুকে যায়। খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্কিম। কিন্তু অসাবধানতাবশত হঠাৎই সাপটি কামড় বসায় তাঁর হাতে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে মালদা মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ভর্তি করানোর পর মৃত্যু হয় বঙ্কিমের।
সাপ ধরা নেশা ছিল বঙ্কিমের। এই কাজ করে কোনও অর্থ উপার্জন অবশ্য হত না। তবে তবে সাপ ধরার জন্য নির্দিষ্ট কোনও প্রশিক্ষণ তাঁর ছিল কি না, তা বলতে জানেন না কেউ। যদিও বঙ্কিমের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ইংরেজবাজার চত্ত্বরে।