নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও ফিরে এল একুশের জনস্রোত। কলকাতার(Kolkata) বুকে লাখো মানুষের সুনামি। বাংলার অগ্নিকন্যাকে চোখের দেখা দেখতে, তাঁর কথা শুনতে একুশে জুলাইয়ের(21 July) সকালে কলকাতায় লাখো মানুষের স্রোত ধর্মতলা অভিমুখে ধেয়ে এসেছে। আজ একুশে জুলাই। আন্দোলন, আবেগ, শহীদ তর্পণের পাশাপাশি বিজয়, গৌরব ও আত্মত্যাগের দিন। কোভিডের কারণে গত ২ বছর একুশের অনুষ্ঠান হয়েছে ভার্চুয়াল। কিন্তু এবারে ফের আগের চেহারাতেই ফিরেছে একুশের মহাসমাবেশ। কার্যত রেকর্ড জমায়েত। আর সেই লাখো লাখো মানুষের সামনে একুশের মহামঞ্চে দাঁড়িয়ে সিপিআই(এম)-কে তীব্র আক্রমণ শানলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়(Sougata Roy)। মনে করিয়ে দিলেন কেন এই একুশের জমায়েত, কেন প্রতিবছর এই শহীদ তর্পণ, আর কেনই বা বাংলার অগ্নিকন্যাকে এদিন দেখার জন্য বছর বছর মানুষ ছুটে আসে এই দিনে ধর্মতলার(Dharmatala) বুকে।
এদিন একুশের মহামঞ্চ থেকে সৌগত রায় বলেন, ‘সিপিএমের দম্ভের বলি হয়েছিলেন ১৩জন কর্মী। মানুষের আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিয়ে সিপিএমের পুলিশ গুলি চালিয়েছিল ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই। কিন্তু সেই ঘটনা বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) থামাতে পারেনি। তিনি আরও জ্বলে উঠেছেন। সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম, নেতাই থেকে আরামবাগ, ছোট আঙাড়িয়া থেকে সূচপুর, যেখানেই সিপিআইএমের গুলিতে, হার্মাদবাহিনীর হামলাতে তৃণমূলকর্মীরা মারা গিয়েছেন সেখানেই ছুটে গিয়েছে মমতা। বাংলার মানুষও তাই বার বার মমতার ডাকে এই ধর্মতলার বুকে ছুটে এসেছে, তাঁরভ পাশে দাঁড়িয়েছে। এই মানুষ আর মমতাই সিপিএমকে বাংলার ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। মমতা সিপিএমকে বিধানসভা থেকে মুছে দিয়েছে। মানুষ সিপিএমকে মায়ের ভোগে পাঠিয়ে দিয়েছে। যার মানুষের কথা ভাবে না তাঁরা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। সিপিএম পারেনি আগামী দিনে বিজেপিও পারবে না। ভারতের ক্ষমতা থেকে বাংলার অগ্নিকন্যাই তাঁদের দিল্লির ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেবে।’