নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার শিক্ষাঙ্গণ ঘিরে আবারও বিতর্ক। ফের ক্লাসরুমের ভিতর ছাত্র-ছাত্রীদের(Students) উদ্দাম নাচের ভিডিয়ো(Dance Video) ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়(Social Media)। স্কুলের ক্লাসরুমের মধ্যেই হিন্দি গানের তালে-তালে স্কুল ইউনিফর্মেই উদ্দাম নাচছে ছাত্র-ছাত্রীরা, এমনই দেখা যাচ্ছে সেই ভিডিওতে। আর এই ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলার শিক্ষাজগতে। স্কুলের মধ্যে বার বার কেন এমন ঘটনা ঘটছে সেই প্রশ্ন যেমন উঠছে তেমনি তরুণ প্রজন্মের রুচিবোধ ও মূল্যবোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। এবারে সে স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে সেটির অবস্থান হাওড়া(Howrah) জেলার আমতা(Aamta) এলাকায়। স্কুলের নাম রসপুর হাইস্কুল(Raspur High School)।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার ওই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথম পিরিয়ডের শেষ হয়ে যাওয়ার পর মোবাইলে একটি হিন্দি গান চালিয়ে সেই গানের তালে নাচানাচি শুরু করে। সেই সময় দ্বিতীয় পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলেও সেই ক্লাস নেওয়ার জন্য শিক্ষক তখনও সেদিন আসেননি। আর সেই সুযোগেই এই ঘটনা ঘটে যায়। স্কুল ইউনিফর্মে ছাত্রছাত্রীদের নাচের সেই ঘটনা আবার পড়ুয়াদের কেউ কেউ মোবাইলে ভিডিও করে তুলে রাখে। পরে তাদেরই কেউ তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়। মুহুর্তের মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরালও(Viral) হয়ে যায়। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিন্টু কুমার দাস। দাস। তবে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছে রসপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেনীর পড়ুয়াদের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষও। ক্ষুব্ধ অভিভাবকমহলও। এই বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিন্টু কুমার দাস জানিয়েছেন, ‘শনিবার প্রথম পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরই ছাত্র-ছাত্রীরা নাচানাচি করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে এটা উচিত হয়নি। ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরাও অনুতপ্ত। এমন ঘটনা আর কোনদিন ঘটবে না বলে তারা জানিয়েছে। তবে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে মোবাইল রাখতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।’
প্রধান শিক্ষকের দাবি, ‘অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্কুল থেকে সরাসরি টিউশন পড়তে যায়। তারপর টিউশন পড়ে বাড়িতে ফেরে। তাই তারা কখন, কোথায় রয়েছে অবস্থান জানতে অভিভাবকেরা মোবাইল রাখার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। সেজন্যই আমরা মোবাইল রাখার অনুমতি দিয়েছি। তবে ক্লাসরুমের মধ্যে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা আর কখনও হবে না বলে তারা জানিয়েছে।’ যদিও অভিভাবকদের একাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে বেশি অসন্তুষ্ট। তাঁদের দাবি, যখন এই নাচানাচির ঘটনা ঘটেছে তখন স্কুলের কোনও শিক্ষকের কেন এই ঘটনা চোখে পড়ল না। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আগেও তাঁরা কেন এই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানতে পারলেন না।