নিজস্ব প্রতিনিধি, বালুরঘাট: ইচ্ছে ছিল মেয়েকে কলকাতায় রেখে নার্সিং পড়াবেন। কিন্তু তাতে যা খরচ, তা কোথা থেকে জোগাবেন? তা নিয়েই দিনরাত চিন্তায় মগ্ন ছিলেন বালুরঘাটের চিঙ্গিশপুর কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা রতন চৌধুরী। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অবশেষে রবিবার সকালে বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁর।
পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বছর চল্লিশের রতন একটি মুদিখানা দোকানও চালাতেন। কিন্তু তাতে যা রোজগার হয় তাতে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোটে বটে। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল পড়াশোনায় ভালো মেয়েকে ডাক্তার বানাবেন। তাতে খরচ প্রচুর, প্রতিবেশিদের থেকে জানতে পেরে কিছুটা পিছিয়ে আসেন। এরপর মনে মনে স্থির করেছিলেন ডাক্তার না হলেও মেয়েক অন্তত কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে নার্সি পড়াবেন। কিন্তু তাতেও বছরে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ। তা নিয়েই চিন্তা করতেন সারাদিন। মৃতের এক আত্মীয় জানান, দীর্ঘদিন কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলতেন না রতন। এরপর রবিবার সকালে বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর।
স্থানীয়রাই খবর দেয় পুলিশের। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। একইসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুধু কি মানসিক অবসাদ, না কি অন্য কারণ রয়েছে মৃত্যুর পেছনে? আদৌও আত্মহত্যা না কি খুন, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এলাকায় কারও সঙ্গে তাঁর কোনও বিবাদ ছিল না বলেই দাবি প্রতিবেশিদের। স্ত্রীর সঙ্গেও বৈবাহিক সম্পর্ক ভালোই ছিল। আচমকা তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।