এই মুহূর্তে

কাঁথির পুরপ্রধান রীনা, উপপুরপ্রধান অখিলপুত্র সুপ্রকাশ গিরি

নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলের পক্ষে গিয়েছিল রাজ্যের মহিলাদের ভোটব্যাঙ্ক। কার্যত বাংলার মেয়েকে আবারও নবান্নে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বটা বাংলার মেয়েরাই নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। এর জেরে রাজ্য সরকারের তরফে মহিলাদের জন্য আর্থসামাজিক প্রকল্পগুলিতে যেমন বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে তেমনি তৃণমূলের তরফেও চেষ্টা করা হচ্ছে প্রতিটি নির্বাচনে যতটা বেশি সম্ভব মহিলাদের প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতে। এবারের পুরনির্বাচনে সেই মহিলাদের যতটা সম্ভব বেশি তুলে ধরা হয়েছে। ১০৮ পুরসভার মধ্যে ১০২টি পুরসভায় নিরঙ্কুশ জয়ের পরে এখন তৃণমূলের তরফে একের পর এক পুরসভায় মহিলাদের পুরপ্রধানের পদে তুলে ধরা হচ্ছে। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের(Purba Midnapur) একসময়কার অধিকারীদের খাসতালুক তাঁদের নিজেদের শহরে তৃণমূল পুরপ্রধান হিসাবে তুলে ধরল বিজেপির বিধায়ককে হারানো রীনা দাসকে। শহরের উপপুরপ্রধান হলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে শুপ্রকাশ গিরি। সন্দেহ নেই তৃণমূল গড়ে এবার থেকে গিরিদের আধিপত্যই প্রতিষ্ঠা হল।

এবারের পুরনির্বাচনে কাঁথির(Contai) দিকে সকলেরই নজর ছিল। অধিকারীদের শহরে শেষ হাসি কে হাসে তা জানার জন্য সেদিকে সকলেই তাকিয়ে ছিল। রবিবার ছিল ভোটগ্রহণ আর বুধবার বার হয় তার ফলাফল। আর তখনই দেখা যায় শহরের ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতে জিতে বাজিমাত করেছে তৃণমূলই(TMC)। বিজেপির(BJP) ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ৩টি আসন। ১টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে এক নির্দল প্রার্থী। কার্যত এই শহরের পুরযুদ্ধের ফল মেদিনীপুরের মাটিতে অধিকারের সব অধিকারকে চূড়ান্ত ভাবে খর্ব করে দিয়েছে। তাঁদের হাতে এখন পেনসিল ব্যাতীত আর কিছুই রইল না। তবে এবারের পুরনির্বাচনে সব থেকে বড় চমক হয়ে ওঠে শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৭ ভোটে হেরে যান কাঁথি উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুমিতা সিংহ। তিনি হারেন তৃণমূল প্রার্থী রীনা দাসের(Reena Das) কাছে। এদিন সেই রীনাকেই শহরের পুরপ্রধান করে বড় চমক দিল তৃণমূল।

এবারে অনেকেই ভেবেছিলেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান হতে পারেন অধিকারীদের চিরকালীন বিরোধী গিরি পরিবারের তরুণ তুর্কী নেতা তথা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি শুপ্রকাশ গিরি(Suprakash Giri)। কিন্তু এদিন তাঁকে কাঁথি পুরসভার উপপুরপ্রধান করা হয়েছে। সুপ্রকাশবাবু এবারে কাঁথির ১০ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন। মনে করা হচ্ছে কাঁথিকে তৃণমূলের গড় হিসাবে তুলে ধরতেই আর নতুন করে কোনও পরিবারকে তুলে ধরতে চায় না জোড়াফুল। আর সেই কারনেই অধিকারীদের হটিয়ে গিরিদের হাতে শহরের রাশ তুলে দিচ্ছে না তৃণমূল। যদিও মনে করা হচ্ছে রীনা চেয়ারম্যান হলেও পুরসভার যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ গিরি পরিবারের হাতেই থাকবে। কার্যত তাঁরাই হয়ে উঠতে চলেছেন কাঁথির নিয়ন্ত্রক।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর