এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কোজাগরী পুজো শেষে সবার অলক্ষ্যেই বিসর্জিত হবেন রাজবাড়ির দুর্গা

Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বহু রাজবাড়ি, জমিদারবাড়ি, বনেদি বাড়িতে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। সেই বাড়ির পুজোর ইতিহাস শতাধিক বছরের। কারও ৫০০ বছরের বেশি পুরাতন পুজো, তো কারও ৩০০ বছরের বেশি পুরাতন। এই সব বাড়ির পুজো শেষে মা বিদায় নেন বিজয়া দশমীর দুপুর, বিকাল বা রাতে। ব্যতিক্রম বাঁকুড়া(Bankura) জেলার ছাতনা(Chatna Rajbari Durga Puja) রাজবাড়ির দুর্গা। তিনি বিদায় নেন কোজাগরী পূর্ণিমার লক্ষ্মী পুজোর(Kojagari Lakshmi Puja) দিন। শুধু তাই নয়, সেই বিসর্জন দেখতে পাননা রাজবাড়ির কোনও সদস্য। বিসর্জন দেখা নিষিদ্ধ গ্রামের সকলের জন্যও। কার্যত লোকচক্ষুর অন্তরালেই বিসর্জিত হন দেবী দুর্গা। ৬০০ বছরের প্রাচীন সেই দুর্গাপূজার রীতি আজও কেউ ভাঙার চেষ্টা করেননি।

জানা গিয়েছে, সামন্তভূম ছাতনা এবং মল্লভূম বিষ্ণুপুরের মধ্যে ঘোর বিবাদ বেঁধেছিল বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের অন্যতম রত্ন ছাতনার ভূমিপুত্র চারণকবি বড়ু চণ্ডীদাসকে কেন্দ্র করে। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে চর্যাপদের পরেই বড়ু চণ্ডীদাস(Boru Chandidas) রচিত শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের স্থান। রচনাকাল সঠিকভাবে নির্ণীত না হলেও এটিকে প্রাকচৈতন্য যুগের (খ্রিস্টীয় ১৪শ শতক) মনে করা হয়। কথিত আছে সেই দুই রাজপরিবারের বিবাদ মিটেছিল দৈববাণীর মধ্যে দিয়ে। বিবাদ মেটাতে সন্ধি হয়। কথিত আছে সন্ধিতে উল্লেখ করা ছিল সামন্তভূমের কুলদেবী মা বাসুলি বা দেবী মনসা পুজিত হবেন বিষ্ণুপুরে এবং মল্লভূমের মা মৃন্ময়ীর আরাধনা হবে সামন্তভূম ছাতনায়। তখন থেকেই শুরু ছাতনা রাজবাড়ীর বিষ্ণুপুরি আদলে দুর্গোৎসবের সূচনা। সামন্তভূম ছাতনার সুবিশাল রাজবাড়ি আজও রয়েছে। আচঝেন রাজাও। পারিবারিক রীতিম মেনে তিনি নিজের হাতেই মা দুর্গার পূজা করেন। বিষ্ণুপুরের মা মৃন্ময়ীর আদলে তৈরি হয় ছাতনা রাজবাড়ির প্রতিমা।

ছাতনা রাজবাড়িতে পুজো শুরু হয় জীতাষষ্ঠীর দিন থেকে, অর্থাৎ সপ্তমী পূজার ১৫ দিন আগে থেকে। শেষ এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিনে। জীতাষষ্ঠীর দিন রাত্রে ভোগ নিবেদন করা হয়। ষষ্ঠীর দিন দেবীর তৃতীয় বোধন হয়ে থাকে। ষষ্ঠীর দিন তোপধ্বনি দ্বারা দেবীর বোধন সম্পন্ন করা হয়। অষ্টমিতে এই পুজোয় রাজা অঞ্জলি দেন দেবীকে। তিনি ছাড়া এই গোটা দুর্গাপুজোয় রাজবাড়ির কোনও সদস্য বা অপর কেউ দেবীকে অঞ্জলি দিতে পারেন না। তবে রাজবাড়ির সদস্যদের জন্য আছে ডালাদৌড় ও খাঁড়াদৌড়। সন্ধিপুজোয় করা হয় তোপধ্বনীও।

সামন্তদের অস্ত্রসজ্জিত হয়ে দেবীর নবপত্রিকার বিসর্জন হয় দশমীতে। তবে প্রতিমা থেকে যায়। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন মায়ের প্রতিমাতেই পুজিতা হলেন মা লক্ষ্মী। রাত্রি হলেই ছাতনা দুবরাজপুরের বাগদী পাড়ার মানুষজন মাকে নিয়ে যান নিঃশব্দে। বিসর্জনের দৃশ্য দেখার অনুমতি নেই রাজবাড়ীর কারো, এমন কি সাধারন মানুষের পর্যন্ত নেই। পরের বছর মায়ের কাঠামোতে তৈরী হয় মা মনসার মূর্তি। দশমীর পূজার পর পুনরায় বাসুলি মন্দিরে গিয়ে রাজা পূজা সেরে নেন মানসিক শান্তির জন্য। রীতি অনুযায়ী ছাতনার রাজবাড়িতে দুর্গোৎসব শেষ হলে মন্দিরে এসে মায়ের মুখ দেখেন না রাজ পরিবারের কোনও সদস্য।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কাঞ্চনের সঙ্গে কল্যাণের ব্যবহার  নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীময়ী  

‘পদ্মফুল চোখে সর্ষেফুল দেখবে’, কটাক্ষ অভিষেকের

‘খলিস্তানি বলার প্রতিবাদ করেননি কেন’, আলুওয়ালিয়াকে প্রশ্ন ছুঁড়লেন মমতা

‘কেন চকোলেট বোমা ফাটলেও CBI, NSG-র দরকার পড়ে’, সন্দেশখালি কাণ্ডে সরব মমতা

বিজেপি নেতার বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ভোটের মুখে হাসনাবাদে ছড়াল উত্তেজনা

দুর্গাপুরে ফের চোট পেলেন মুখ্যমন্ত্রী, হেলিকপ্টারে বসতে গিয়ে বিপত্তি

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর