এই মুহূর্তে




আকাশ ছুঁয়েছে দাম, মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের পাত থেকে উধাও ডিম

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ডিমের দাম আকাশছোঁয়া, মধ্যবিত্তদের মাথায় হাত। তবে মধ্যবিত্তদের থেকেও বেশি ফ্যাসাদে পড়ে গেল সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা। রাজ্যের সকল অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের মিড ডে মিলে ডিমের জন্যে বরাদ্দ থাকে মাত্র সাড়ে ছ’টাকা। এই টাকায় কিছুতেই পড়ুয়াদের খাবারের পাতে ডিম দেওয়া সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে বাঁকুড়ার ৫ হাজার ৭৩৯টি কেন্দ্রে ডিম রান্না বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। যাতে প্রায় চার লক্ষ শিশু ও উপভোক্তা মা পরিপূরক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবেন। এখনও গ্রাম বাংলার বহু জায়গায় সরকারি স্কুলের মিড ডে মিলে খাওয়ার জন্যে অপেক্ষা করে থাকে পড়ুয়ারা। যাঁদের পরিবারে দু’বেলা দু’ মুঠো ভাত জোটে না। মা-বাবা অতি দরিদ্র। সে সব শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার অভানব প্রয়াস হল স্কুলের মিড ডে মিল। যেখানে প্রতিদিন ধাপে ধাপে ডিম কিংবা মাংস রান্না হয়। এবং শিশুরা খাওয়ার লোভেই স্কুলে পড়তে আসে। যার ফলে, যে সমস্ত শিশুরা ছোট থেকে স্কুলে যেতে চায়না, তাঁরাও স্কুলে যাবে। এবং রাজ্যে শিক্ষার অভাব দূর হবে। যদিও অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলগুলিতে গর্ভবতী, প্রসূতি মা সহ শূন্য থেকে পাঁচবছরের শিশুরা প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা ও পরিপূরক পুষ্টিযুক্ত খাবার পায়। ডিম বন্ধের ফলে তাঁরা আর পুষ্টিকর খাবার পাবেন না। তাঁরা স্কুলে আজ থেকে খিচুড়ি রান্না চালু করবেন।

অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলগুলির মিড ডে মিলে ডিমের জন্যে সরকারের তরফে বরাদ্দ থাকে মাত্র সাড়ে ৬ টাকা। বর্তমানে ডিম খুচরো বাজারে সাড়ে সাত থেকে আট টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা কিনতে গিয়েই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মাথায় হাত পড়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন সহ দফতরের জেলা আধিকারিকের কাছে চিঠি জমা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাজারে সবজি ও জ্বালানি বাবদ বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিও জানিয়েছিলেন। শুধু ডিম নয়, পাশাপাশি সবজি ও জ্বালানি খরচাও বেড়েছে, এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার সবজি ও জ্বালানির খরচা বাবদ সরকারি বরাদ্দ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে জেলা প্রশাসন দফতরে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা বিষয়টিকে পাত্তা দেননি। কেবলই আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন।

তাই আজ থেকে জেলাজুড়ে প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন তাঁরা। শিশুদের পাতে ডিম দেবেন না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের বাঁকুড়া জেলার ডিপিও নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দাবি গুলি রাজ্যের দফতরে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা অ্যাসোসিয়েশনের বাঁকুড়া জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শিখা নিয়োগী জানিয়েছেন, তাঁরা খুব স্বল্প সান্মানিক পান। তাই সরকারি বরাদ্দের চেয়ে ডিমের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি হওয়ায় তাঁরাও বিপাকে পড়েছেন। গাঁটের কড়ি খরচা করে কেন্দ্র চালাতে হচ্ছে। বর্তমানে বাঁকুড়া জেলায় বর্তমানে ৫৭৩৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে গর্ভবতী, প্রসূতি মা সহ শূন্য থেকে পাঁচবছরের শিশুরা প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা ও পরিপূরক পুষ্টিযুক্ত খাবার পায়। ডিম বন্ধের ফলে তাঁরা আর পুষ্টিকর খাবার পাবেন না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রক্তদান শিবিরের গেট তৈরি করাকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে আইএসএফ – তৃণমূল সংঘর্ষ

অভিষেকের অনশন প্রত্যাহারের বার্তা নিয়ে ঠাকুরনগরে হাজির রাজ্যের দুই মন্ত্রী

খড়দহে মজুত বিপুল পরিমাণ বারুদ বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির চাল

জীবনযুদ্ধে জয়ী শিশুকন্যার পাশে জঙ্গলমহলের মানবিক পুলিশ

খড়দার তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, পুলিশ কী সমাজ বিরোধীদের দালাল!

বোলপুরে মানসিক অতিরিক্ত চাপে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি BLO

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ