নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দিন ধরে ছিল অপেক্ষা। কী হবে বৈঠকে? মিলবে কী কোনও সমাধানসূত্র? চাকরি কী পাওয়া যাবে? এই সব প্রশ্নের উত্তরের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন রাজ্যের SLST চাকরিপ্রার্থীরা(SLST Job Seekers)। তাকিয়ে ছিল বাংলাও(Bengal)। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর(Bratya Basu) সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে দিল বৈঠক সদর্থক হয়েছে। রাজ্য সরকার আপ্রাণ ভাবে চেষ্টা করছে জট কাটাবার। সুপ্রিম কোর্টে মামলা ঝুলে থাকায় সেই জট চট করে কাটবে না। তবে বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে। আগামী ২২ তারিখ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আবারও বৈঠক থাকছে আন্দোলনকারীদের। আগামী ২২ তারিখ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আবারও বৈঠক থাকছে আন্দোলনকারীদের। উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে ছিলেন রাসমনী পাত্র, যিনি মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বৈঠকে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষও(Kunal Ghosh)। সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে ৫৫৭৮ জনকে নিয়োগ দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee), বৈঠক শেষে বেড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধদের সামনে এমনটাই জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা।
মেয়ো রোডে চাকরির দাবিতে নিরন্তর প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলের চাকরিপ্রার্থীরা। গত শনিবার ছিল ধর্নার হাজারতম দিন। বঞ্চনা তাঁদের জীবনকে কতটা প্রভাবিত করেছে বোঝাতে গিয়ে সেই মঞ্চে প্রতিবাদ প্রদর্শন করতে এসে মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র। পূর্ব মেদিনীপুর ভোগপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা চাকরিপ্রার্থীর প্রতিবাদের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা পৌঁছেছিলেন সেখানে। ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে কথা বলবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এর পর কুণালের মধ্যস্থতাতেই ঠিক হয় সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন SLST চাকরিপ্রার্থীরা অর্থাৎ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদের জন্য চাকরিপ্রার্থীরা। পরে রবিবার কুণাল জানান, তিনি নিজেও হাজির থাকবেন ওই বৈঠকে। তবে দলের সদস্য হিসাবে নয়। চাকরিপ্রার্থীদের তরফে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন তিনি। সোমবার দুপুরে বিকাশ ভবনে শুরু হয় সেই বৈঠক।
বৈঠক শেষে এদিন কুণাল জানান, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই এতগুলি পদ তৈরি হয়েছে। অনেকেই চান না এই সমস্যার সমাধান হোক। তাঁরা চান আন্দোলন, ধর্না এসব চলতেই থাকুক। তাতে তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা লুটতে চাইছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার অত্যন্ত মানবিক ভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে চাইছে। আইনি জট রয়েছে, ঠিকই। সেই জট কাটিয়েই কীভাবে নিয়োগ করা যায় সেটাই দেখা হচ্ছে। একটা বৈঠকেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। তাই ২২ তারিখ আবারও একটা বৈঠক হবে। এদিন বৈঠক শেষে আশাবাদী আন্দোলনকারীরাও। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, ২২ তারিখ তাঁরা বৈঠকে যোগ দেবেন ঠিকই, কিন্তু আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন তাঁরা।