এই মুহূর্তে




২০২৪ সালের ভোটার তালিকায় থাকা কোনও নাম বাদ দেওয়া যাবে না, কমিশনকে জানাল তৃণমূল




নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি: ২০২৪ সাল পর্যন্ত তালিকাভুক্ত কোনও ভোটারের নাম যাতে বাদ না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য মঙ্গলবার (১ জুলাই) দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim), চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস এবং লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (MP Kalyan Bandopadhay) ও রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চির বরাইক। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন বা এসআইআরের উদ্দেশ্য হল কোনও ভোটার যেন বাদ না পড়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু নির্দেশিকার ভিত্তিতে আমাদের মনে হচ্ছে এই পদ্ধতিটির লক্ষ্য প্রথমে যোগ্যতা যাচাই এবং পরে অন্তর্ভুক্তি।  তাই আমরা আমাদের আপত্তির কথা জানাতে এসেছিলাম। ২০২৪ সালে ভোটার তালিকার ভিত্তিতে ধরে এস আই আর করা উচিত এই দাবি জানানো হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের আগে বিপুল পরিমাণ ভোটারের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল কমিশন। যা নিয়ে কংগ্রেস আপ ও উদ্ধব সেনা সহ বিভিন্ন বিরোধী দল আপত্তি তুলেছিল। বাংলার ক্ষেত্রে যাতে এমনটা না হয় সেজন্যই কমিশনের কাছে দরবার করা হয়েছে। কমিশনকেও বলা হয়েছে ১৮ থেকে কুড়ি বছর বয়সী নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তিতে কোন আপত্তি নেই তাদের। কিন্তু বিপুল সংখ্যক ৫০ থেকে ৬০ বছর ব্যক্তিদের নাম কিভাবে হঠাৎ করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সে বিষয়টি কমিশন দেখুক। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তারা কমিশনে দরবার করেছেন ।২০০৩ সালের পর জন্মগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জন্মের শংসাপত্র(Birth Certificate) চাওয়ার নির্দেশিকা সম্পর্কে আপত্তি জানানো হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যারা ভোট দিয়েছেন তাদের নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই সে কোথাও জানানো হয়েছে নতুন ভোটারদের নথি জমা দিতে বলা যেতেই পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকা ২০০৩ সাল কে ভিত্তি হিসেবে ধরার কথা বলা হয়েছে। মনোনয়নের ৪৫ দিন আগে তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থা জাল ভোটারের নাম যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল এমনটাই দাবি ফিরহাদের। একইসঙ্গে কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বুথে প্রবেশ এবং ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগের বিষয়টিও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভুতের ভেতর থাকে তাহলে রাজ্য পুলিশকে ভূতের ভেতরে থাকার অনুমতি দেওয়া হোক। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্ভুক্ত চম্পাহাটিতে সাড়ে চার হাজার ভোটারের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। আধার এবং ভোটের কার্ডের(Voter Card) লিংক যাতে কোন অবস্থাতেই বাধ্যতামূলক করা না হয় সে দাবিও জানিয়েছে তৃণমূল। কমিশনের কাছে নির্বাচনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয় সে ব্যাপারেও দাবি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে আগে ভোটার তালিকায় বিশেষ সার্বিক পরিমার্জন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়ে কয়েকটা নয়া পদ্ধতি পালনের জন্য প্রত্যেকটি রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কমিশন। এর প্রতিবাদ জানাতেই এবং বেশ কিছু দাবি নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে কমিশন দপ্তরে দরবার করল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিরাট কোহলিই দায়ী! বেঙ্গালুরু পদদলিতের ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিল কর্ণাটক সরকার

‘জল ছাড়ার পরিমাণ কমাতে হবে, ফের ডিভিসি-কে চিঠি পাঠাল রাজ্য

পরিবারে রয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য, সেই বাড়িতেই ঠাঁই নেই মহিলার

এবার পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ভারতীয় সেনা জওয়ান

প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, ভিডিও রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইল, গ্রেফতার ২

যৌন নিগ্রহে অভিযুক্তের ২৫ বছরের সাজা ঘোষণা করল আদালত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ