এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি: পর পর ৩টি নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেও জমি ধরে রাখতে পারছে না বিজেপি। তাঁদের দখলে থাকা একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যত ছিনিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির এই দুরাবস্থাই বলে দিচ্ছে ঠিক কোন বিপর্যয় তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে। মালদার বুকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই বিজেপির জয়যাত্রা শুরু হয়। সেই সময় তাঁরা জেলার বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করতে সক্ষম হয়। সেই জয়ের ধারা বজায় রেখে তাঁরা উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রেও জয়ের মুখ দেখে পরের বছরের লোকসভা নির্বাচনে। চলতি বছরে হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা মালদা জেলার ৪টি আসনে জয়ী হয়। কিন্তু তারপর থেকেই দ্রুত বদল হতে থাকে ছবি। মালদার বুকে বিজেপির হাতে থাকা একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত দখল নিতে শুরু করে তৃণমূল। এর সর্বশেষ সংযোজন জেলার বামনগোলা ব্লকের গোবিন্দপুর মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকে ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ের মুখ দেখেছিল বিজেপি। তার মধ্যে ছিল গোবিন্দপুর মহেশপুর পঞ্চায়েতও। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি জেতে ৮টিতে, তৃণমূলের দখলে যায় ৭টি আসন। পরে তৃণমূলের এক সদস্য মারা যাওয়ায় বোর্ডে শাসক দলের সদস্যসংখ্যা কমে হয় ৬। কিন্তু এখন পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ ৪ বিজেপির সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বোর্ডের গরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেছে বিজেপি। তাঁদের হাতে এখন মাত্র ৪জন সদস্য রয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষে সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০। ফলে এই পঞ্চায়েতের দখল নেওয়া ও তা পরিচালনা করা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

দলবদল করে গোবিন্দপুর মহেশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ও বিজেপি নেত্রী প্রতিমা মণ্ডল বলেছেন, ‘আমরা তৃণমূলে যোগদান করলাম, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজ দেখে আমরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। বিজেপিতে থেকে কাজ করা যাচ্ছিল না। মানুষের জন্য কোনও উন্নয়ন করতে পারছিলাম না। তাই সময় নষ্ট না করে আমরা তৃণমূলে যোগ দিলাম।‘ প্রতিমা একথা জানালেও বিজেপির বামনগোলা মণ্ডল সভাপতি অমিত ঘোষের দাবি, ‘তৃণমূল যেভাবে বিরোধীজের ভয় দেখাচ্ছে, মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে, তারই পরিণতি এই দলবদল। প্রধানকে হুমকি দেওয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা কঠিন।’ তবে অমিত ঘোষের এই দাবিকে খারিজ করে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বামনগোলা ব্লক সভাপতি অশোক সরকার বলেছেন, ‘বিজেপি মানুষকে ভুল বুঝিয়েছিল। আমজনতা এখন কোনটা সঠিক তা দেখতে পাচ্ছেন। বিজেপিকে ভোট দিয়ে যে এলাকার উন্নয়ন ঘটবে না সেটা যেমন আমজনতা বুঝতে পেরে গিয়েছেন তেমনি বিজেপির টিকিটে জেতা পঞ্চায়েতের সদস্যরাও বুঝতে পেরে গিয়েছেন। কেউ কাউকে ভয় দেখায়নি। মানুষের জন্য কাজের স্বার্থে আর উন্নয়নের জন্যই দলবদলের ঘটনা ঘটছে। আর শুধু যে এই পঞ্চায়েতে দলবদক ঘটেছে তা তো নয়, এই ব্লকের ৪টি পঞ্চায়েতের ক্ষমতা বিজেপি হারিয়েছে। মানিকচক, গাজোল, ওল্ড মালদায় একের পর পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হচ্ছে। তৃণমূলকে দোষ না দিয়ে বিজেপি বরঞ্চ নাহয় খুঁজে দেখুক কেন তাঁরা জেতা জমি ধরে রাখতে পারছে না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিদ্যুতের আমলে বিশ্বভারতীতে বন্ধ ‘কন্যাশ্রী’ শুরু করতে উপাচার্যকে চিঠি অভিভাবকদের

লোকসভা ভোটের আগে ময়ূরেশ্বরে ২ সশস্ত্র দুষ্কৃতী হাতেনাতে পাকড়াও

রবিবার দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় তাপপ্রবাহের ‘লাল সর্তকতা’ জারি

‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পে মৎস্যজীবীদের নাম নথিভুক্ত নিয়ে বিভ্রাট, ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবীরা

‘এ রাজ্যে তো কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি ভাই-ভাই সঙ্ঘ’, কটাক্ষ মমতার

‘কে কী খাবে তা নিয়ে আপনারা কেন ধমকাবেন’, প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর