-273ºc,
Tuesday, 30th May, 2023 2:01 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: সংসদে ধর্নায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বিশেষ কিছু শব্দ। অথচ বেশিরভাগ শব্দই অতি সাধারণ। কংগ্রেস- তৃণমূল সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের দাবি, এভাবে আসলে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাউসে ধর্নায় বসা যাবে না, এই নিয়মকেই চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ (MP)।
চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তিনি বলেন, ‘যেদিন হাউস খুলবে, সেদিনই দরকারে ধর্নায় বসবে তৃণমূল’। তাঁর বক্তব্যের পরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, আইনের নামে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে ‘ফ্যাসিস্ট’ বিজেপি (BJP)।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রে বিজেপি আসীন হওয়ার পর থেকে সংসদ ভবন সংলগ্ন এলাকা বিরোধীদের কাছে বিক্ষোভের আদর্শ মঞ্চ হয়ে ওঠে। সংসদের ভিতরে বিরোধীরা কোনও আলোচনা বা প্রতিবাদ জানালে স্পিকারকে বলতে শোনা গিয়েছে, নাথিং উইল গো অন রেকর্ড। আর সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সরকার ঘটা করে সর্বদল বৈঠক ডাকে। বৈঠকে বিরোধীদের থেকে সহযোগিতা প্রার্থনা করা হয়। বিরোধীরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আর সংসদের অধিবেশন শুরু হলে দেখা যায়, বিরোধীরা কোনও বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার দাবি তুললে সরকার সেই প্রস্তাবে সাড়া দিতে অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে বিরোধীরা অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন। সংসদ ভবনের সামনে তাঁরা ধর্নায় বসেন। সংবাদমাধ্যমে তা প্রচারও করা হয়। বিরোধীরা যাতে আগামীদিনে ধর্না-বিক্ষোভ দেখিয়ে মাইলেজ না পায়, তার জন্য এই পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার।