নিজস্ব প্রতিনিধি: সীমান্ত এলাকা বাগদা। সেখানে রাতের বেলা কোলের সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে মাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ২ বিএসএফের (BSF) বিরুদ্ধে। রক্ষকই ভক্ষক, এই আওয়াজ তুলে উত্তাল রাজ্য। গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বাগদায় গিয়েছিল তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধিদল। সেখানে করা হয় প্রতিবাদ সভাও।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রমুখ। যে এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল সেই জায়গা ঘুরে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ন্যায় আদায়ের জন্য দীর্ঘ লড়াই করতে প্রস্তুত দল।
প্রতিনিধি দল নারী নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ শোনার পর তাঁদের আশ্বস্ত করেন। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, মহিলাদের ওপর অত্যাচারকারীরা দেবীর পুজো করেন না। মন্ত্রী আরও বলেন, সীমান্ত পের হওয়ার শাস্তি অন্য। তা বলে কাওকে ধর্ষণ করা যায় না। তাঁর অভিযোগ, এমন অনেক বিএসএফ আছে যাদের সঙ্গে গ্রামের মহিলাদের শরীর নিয়ে আপোষ করতে হয়। অনেক কিছু তথ্য উঠে এসেছে। সবকিছুর বিরুদ্ধে চলবে প্রতিবাদ।
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, বিএসএফের বিপক্ষে নয় কেও। তাঁদের কাজ সীমান্তের সুরক্ষা বজায় রাখা। তবে কেও কেও আছে মা ও বোনদের সঙ্গে অভদ্রতামি করে। তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ। আরও বলেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য সন্ধে ছ’টার পর কোনও মহিলা ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। এরপরেই তিনি বলেন, বিএসএফের সীমানা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার কথা বলছে কেন্দ্র। তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে ৫০ কিলোমিটার করা মানে সর্বনাশ। সুরক্ষাবৃদ্ধি হবে না আদৌ।