নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে ভরা বর্ষায় বৃষ্টির ঘাটতির মুখে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। চিন্তায় কপালের ভাঁজ পড়েছে কৃষকদেরও। যদিও ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত রাজ্যের একাধিক জেলাতেই বেশ চোখে পড়ছে। এই অবস্থায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিল কোভিডে(Covid) জোড়া মৃত্যুর(Death) ঘটনা। দুইজনই মারা গিয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে(Burdhwan Medical College and Hospital)। ২জনই ষাটোর্ধ ও কোভিডে আক্রান্তের পাশাপাশি তাদের অনান্য শারীরিক সমস্যাও ছিল। একজন মারা গিয়েছে গত পরশু অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যাবেলায় এবং অপরজন মারা গিয়েছেন সোমবার সকালে।
আরও পড়ুন থানের দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, দিচ্ছেন ক্ষতিপূরণও
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার ভাতারের ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষার পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অন্যদিকে, সোমবার সকালে মারা যান ওই জেলারই দেওয়ানদিঘী থানা এলাকার ৬১ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি কয়েকদিন আগে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে তাঁরও কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও এই জোড়া মৃত্যুর জেরে কোভিড নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও তারা যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি। শতাধিক কোভিড বেডের পাশাপাশি কোভিড ICU, CCU সহ সমস্ত ব্যবস্থা তৈরি রাখা হয়েছে। হাসপাতালের দুটি নিজস্ব অক্সিজেন প্ল্যান্ট থাকায় অক্সিজেন সরবরাহ নিয়েও সমস্যা হবে না বলেই দাবি তাঁদের।
আরও পড়ুন INDIA বলা যাবে না, বলতে হবে আইএনডিআইএ, ফরমান বিজেপিতে
অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, কোভিড নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। শুধু সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় জ্বর-জ্বালা হচ্ছে, তাই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া উচিত। তবে বর্ধমানের ঘটনা সামনে আসায় রাজ্যবাসীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কেননা রাজ্যে দীর্ঘদিন কোভিডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সেখানে পর পর দুই দিন ১২ ঘন্টার মধ্যে একই হাসপাতালে দুই কোভিড রোগীর মৃত্যু সবাইকে ভাবাচ্ছে। বিশেষ করে সামনেই উৎসবের মরশুম। এই অবস্থায় মারণ ভাইরাসের দাপট যদি আবারও বেড়ে যায় তখন উৎসব ঠিক ভাবে পার করা যাবে কিনা তা নিয়ে বাঙালি ভাবনায় পড়বেই। তবে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নবান্নে এনিয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে।