নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল মার্চ-এপ্রিল মাসে। সেই সময় ভোট হওয়ার কথা ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও। কিন্তু দুই কেন্দ্রের দুই ভোটার কোভিডের শিকার হয়ে মারা গেলে দুটি কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই ভোট এদিন গ্রহণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে শুরু হয়েছে ভোটদান পর্ব। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এদিন প্রথম দুই ঘন্টায় অর্থাৎ সকাল ৯টা পর্যন্ত ওই দুই কেন্দ্রে প্রায় ১৮ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পড়েছে। সামসেরগঞ্জে ভোট পড়েছে ১৬.৩২ শতাংশ ও জঙ্গিপুরে ভোট পড়েছে ১৭.৫১ শতাংশ। এদিন দুই কেন্দ্রেই কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনি বজায় রাখতে কমিশন মোট ৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। তার মধ্যে জঙ্গিপুরে ১৮ কোম্পানি এবং সামসেরগঞ্জে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে এদিন দুই কেন্দ্রেই ভোটপর্ব নির্বিঘ্নে চললেও বিক্ষিপ্ত নানান অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বুধবার রাতে সামসেরগঞ্জের ঘনশ্যামপুরে কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমানের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মী জিয়াউর রহমানের বাড়িতে হামলা ও বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছেন ওই কেন্দ্রেরই তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। সেই ঘটনায় পুলিশ আবার মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল নেতা আনারুল হককে গ্রেফতার করেছে। কেননা আনারুল সম্পর্কে সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমানের ভাইপো। আবার এই কেন্দ্রেই এদিন সকালে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নকল ইভিএম দেখিয়ে তৃণমূল ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীর পাল্টা দাবি, ‘আমি সৌজন্য বিনিময় করেছেন মাত্র। কাউকে প্রভাবিত করার বিন্দুমাত্র বাসনা আমার নেই।’
উল্লেখ্য জঙ্গিপুর কেন্দ্রে বাম প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল ভোট। সামসেরগঞ্জে ভোট স্থগিত করা হয় কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য। সেই বকেয়া ভোটই এদিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জঙ্গিপুরের লড়াইয়ে আছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন, বিজেপির সুজিত দাস এবং আরএসপি প্রার্থী জানে আলম মিয়া। অন্যদিকে সামসেরগঞ্জের লড়াইয়ে আছেন তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম, বিজেপির মিলন ঘোষ, কংগ্রেসের জইদুর রহমান ও সিপিএম মোদাসসর হোসেন।