নিজস্ব প্রতিনিধি, আমতা ও ঘাটাল: নতুন করে বৃষ্টি সেভাবে না হলেও ক্রমশ জল বাড়ছে হাওড়ার আমতা-উদয়নারায়ণপুরে। বিশেষ করে আমতা ২-এর বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় গলাসমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। প্লাবিত প্রায় ২০টি গ্রাম। জলের তলায় চলে গিয়েছে আমতা-উদয়নারায়নপুর ও আমতা-জয়পুর রাজ্য সড়ক। যোগাযোগের মাধ্যম বলতে নৌকা এ এনডিআরএফের বোট। শুধু আমতাই নয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ছবিটাও একইরকম।
গত তিন মাসে এই নিয়ে চার বার বন্যা। মাস দু’য়েক আগের বন্যায় ভেঙে গিয়েছিল কামারগড়ি বাঁধ। যার মেরামতির কাজ চলছে এখনও। এই এলাকায় বাঁধ ফের ভাঙার আশঙ্কায় আমতাবাসী। এই বাঁধ ভাঙলে আমতা ২ নম্বর ব্লকের আরও ৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্লাবিত হতে পারে। যদিও সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। এলাকায় এসে কাজের তদারকি চালাচ্ছেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল ও সেচ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বিধায়ক জানান, রামপুর খালের বাঁধ বালির বস্তা ফেলে জল আটকে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩৪ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
অন্যদিকে একই অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘটালেরও। ক্রমেই বাড়ছে জলস্তর। রাস্তায় বেরোতে হলে চড়তে হচ্ছে নৌকা। ঘাটাল শহরের কিছু এলাকায় একতলা বাড়ির প্রায় সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে ডিভিসির ছাড়া জলে। শিলাবতীর জলে প্লাবিত ঘাটাল পুর-এলাকা। দোকান থেকে বাড়ির বেশিরভাগটাই ডুবে গিয়েছে জলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার, পানীয়জল। এদিনই বন্য়াদুর্গত মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে ঘাটালে যাবেন সাংসদ দেব।