নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম শরিক ছিলেন হুগলির বাসিন্দা উমাপদ গুঁই। যিনি সেই সময়, ভারতীয় সেনাদলের অংশ ছিলেন। সেই সময়ে চোখের সামনে দেখেছিলেন ভারত-পাকিস্তানের ভয়াবহ যুদ্ধের ছবি, কীভাবে পাকিস্তানকে দুরমুশ করেছিল ভারত। এরপর কেটে গিয়েছে টানা ২৬ বছর। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে আবারও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে নির্মূল করার ছোট্ট আভাস দিয়ে দিয়েছে ভারত। সেটা হল, ‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার (৮ মে) গভীর রাতে সকলের অজান্তে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে নিঃশেষ করে দেয় ভারত। অতর্কিত বিমান হামলায় পাকিস্তানের একেবারে ঠ্যাং খোড়া করে দিয়েছে ভারত।

এরপর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। গতকাল রাতে উত্তর-পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যকে টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্র-মিসাইল ছুড়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু সবটাই বানচাল করে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। সব মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পেরে উঠবে না পাকিস্তান, সেটাই মনে করছেন প্রাক্তন ভারতীয় সেনাকর্মী উমাপদ গুঁই। মাত্র ২১ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন উমাপদ গুঁই। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি চালাতেন। দেশের সেবায় একাধিক মেডেলও পেয়েছেন। বর্তমানে অবসর কাটাচ্ছেন তিনি, কিন্তু দেশের প্রয়োজনে তিনি এখনও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে প্রস্তুত। কার্গিল যুদ্ধের সময় তাঁর কার্গিলেই পোস্টিং ছিল। যুদ্ধের সময় সেনাদের নির্দিষ্ট জায়গামতো পৌঁছে দেওয়া, তাঁদের নানা তথ্য জায়গামতো পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। তখনই টাইগার হিল থেকে পাকিস্তানি সেনাদের ভারতের উপর আক্রমণ দেখেছেন তিনি।

পাশাপাশি পাকিস্তানকে জব্দ করতে ভারতীয় সেনাদের অদম্য সাহসও দেখেছেন তিনি। তাই শত্রুদেশ দমন করতে ভারতীয় সেনার উপর আস্থা রয়েছে তাঁর। তাঁর বিশ্বাস, পাকিস্তানকে দুরমুশ করতে ভারতীয় সেনাবাহিনী একাই একশো। এখানেই শেষ নয়। তাঁর কথায় ফুটে উঠেছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের কথাও। তিনি বলেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ। কিন্তু এখন পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করার নিয়ম নেই। যদি ভারত পারমাণবিক বোমা প্রয়োগ করে তাহলে পাকিস্তান শেষ। তার নাম ও নিশান সবটাই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। ভারত চাইলে পাকিস্তানকে খতম করতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না। আর এখন যদি আমাকে ডাকে আমি যুদ্ধের জন্য মাঠে নামতে প্রস্তুত। কিন্তু এখন আর আমাদের ডাকবে না। কারণ তর্জনী সেনারা আমার থেকে অনেক শক্তিশালী। তাই আমি চাই এই সময় গোটা ভারত ভারতীয় সেনাদের পাশে থাকুক।’