নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়মানুযায়ী যে কোনও নির্বাচনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী এলাকাজুড়ে আদর্শ আচরণবিধি(Model Code of Conduct) লাগু হয়ে যায়। লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) সময় তা দেশজুড়ে লাগু হয়, বিধানসভা নির্বাচনের সময় তা সেই রাজ্যে লাগু হয় এবং পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনের সময়ে তা সেই সেই এলাকায় লাগু হয়। সেই হিসাবেই এখন গোটা দেশে লাগু রয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। আর নিয়ম মেনে এই সময়ে যে কোনও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন চলে যায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের(ECI) অধীনে। সেই সময় খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা পুলিশমন্ত্রীরও কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না সেই বাহিনীতে। কিন্তু এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার(Coachbehar District) দিনহাটার মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই জেলারই কিছু পুলিশ আধিকারিককে(Police Officers) সতর্ক(Alert) করে দিলেন তাঁদের কাজ নিয়ে। কেননা ওইসব পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে বিস্তর নালিশ আসছে। ঘটনাচক্রে এই কোচবিহার জেলারই সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিক।
ঠিক কী বলেছেন এদিন মমতা? এদিন দিনহাটার সভা থেকে মমতা দাবি করেন, তাঁর কাছে খবর রয়েছে, কোচবিহারের ৩-৪ জন পুলিশ আধিকারিক সঠিক ভাবে কাজ করছেন না। মমতার অভিযোগ, বিজেপির প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বাইক বাহিনী নিয়ে এলাকায় ত্রাস তৈরি করছেন। কিন্তু প্রশাসন পদক্ষেপ করছে না। মমতা সেই প্রসঙ্গ তুলেই বলেন, ‘আমি সরি, প্রশাসন সব দেখেও চুপচাপ বসে থাকে। কিসের ভয়? চাকরি যাবে? ইলেকশন কমিশন সরিয়ে দেবে? তো দু’মাস বাদে কী করবেন? তার থেকে এখনই দিল্লি চলে যান না। কে বারণ করেছে! হয় দিল্লি যান, না হলে নিশীথের বাড়ি চলে যান। তা হলে আর আপনাদের আইনশৃঙ্খলা সামলাতে হবে না। কোচবিহারে যদি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও প্রবলেম হয়, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।’
ঘটনাচক্রে মমতা নিজেই এ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। তবে এখন তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নেই। কারণ নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তা নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, পুলিশের একাংশকে মমতা বার্তা দিতে চেয়েছেন, দু’মাস বাদে যখন নির্বাচন কমিশনের হাতে আর আইনশৃঙ্খলা থাকবে না, তখন তিনিই সবটা দেখবেন। তবে ৩-৪জনকে সতর্ক করলেও বাকি পুলিশদের তিনি ভালর সার্টিফিকেটই দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ‘সব পুলিশ খারাপ নয়। বেশির ভাগ পুলিশই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন, করছেন। কিন্তু তিন-চার জনের নাম আমার কাছে আছে। শুধু আমার কাছে কেন, সবাই তাঁদের কথা জানে।’