নিজস্ব প্রতিনিধি: গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে বহু ঘর, বাড়ি ও জমি। দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে গঙ্গার ভাঙন। ক্রমশ শেষ হয়ে যাচ্ছে নদীর পার। আতঙ্কে রয়েছেন মালদা ও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা। ভাগীরথীর ধাক্কায় মালদহের রতুয়া, মানিকচক ও বৈষ্ণবনগরে ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে এলাকার পর এলাকা। এখনও বিপদসীরাম উপর দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা। যার ভাঙন কীভাবে আটকানো যায় তাঁর পরিকল্পনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে সেচ দফতরের তরফে শুরু হয়েছে সার্ভে। কীভাবে ভাঙন রোধ করা যাবে? কতটা অঙ্কের টাকা খরচ হবে? সবটাই পাওয়া যাবে এই সার্ভে রিপোর্টে। তবে এই ভাঙন রোধে একা রাজ্য নয়, সাহায্য লাগবে নীতীশ কুমারের সরকারের। মূলত এই একই সমস্যা রয়েছে বিহারেও, সেখান থেকে গঙ্গা ঘুরে মালদা ও মুর্শিদাবাদে ঢুকেছে। ভাঙছে বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই রাজ্য সরকার চাইছে বিহারকেও পাশে নিয়ে এই ভাঙন রোধে কাজ করতে।
আগামী অক্টোবর মাসেই এই সংক্রান্ত সার্ভে রিপোর্ট এসে গেলেই বিহারের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে রাজ্যের সেচ দফতরের আধিকারিকরা। তারপরেই ভাঙন রোধের কাজ শুরু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। যেহেতু এটা বিশাল অঙ্কের টাকার খেলা, তাই কেন্দ্রের কাছেও সাহায্য চাইবে বাংলা, পাশে থাকবে বিহার। এই বিষয়ে রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, ‘মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গার ভাঙনের যে চেহারা আমরা দেখছি তা সত্যিই ভয়াবহ। রাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে নিজের দায়িত্ব পালন করবে ঠিকই, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। ভাঙন রোধে কেন্দ্র অর্থ দিচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রের কাছে আমরা দরবার করব। এই ভাঙনে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের বাড়িঘর তলিয়ে যাচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে কৃষিকাজের জমিও। শুধু ভাঙন রোধ করা নয়, এর ফলে যাঁরা গৃহহীন হচ্ছেন, কর্মহীন হচ্ছেন তাঁদেরও পুনর্বাসন দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্র-রাজ্য উভয়েরই।’
জানা গিয়েছে রাজ্যের সেচ দফতরের এক কর্তার সঙ্গে গঙ্গা রোধের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে নীতীশের সরকারের আধিকারিকের সঙ্গে। তারাও এই বিষয়ে কাজ করতে চায় বলে সহমত পোষণ করেছে। সার্ভে রিপোর্ট তৈরি হলেই দিল্লিতেও পাঠানো হবে বলে সেচ দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে।