নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: দালালের খপ্পড়ে পড়ে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হতে হল এক প্রসূতিকে। জলপাইগুড়ির মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের এই ঘটনায় অভিযোগ উঠছে হাসপাতালে সক্রিয় দালাল চক্রের। অভিযোগ, গর্ভে সন্তানের মৃত্যুর পর মহিলাকে স্থানান্তরিত করা হলেও রেফারের সার্টিফিকেট তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যের হাতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, পরিবর্তে এক দালালের হাতে ওই কাগজ ধরানো হয় হাসপাতালের তরফে।
আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট থানা এলাকার বাসিন্দা তঞ্জিমা খাতুন নামে এক প্রসূতিকে গত মঙ্গলবার বীরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু প্রসব সংক্রান্ত জটিল সমস্যা থাকায় তাঁকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে স্থানান্তরিত করা হয় সেদিনই। এরপর বুধবার দিনভর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলে। সন্ধ্যা নাগাদ পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয় মহিলার গর্ভস্থ সন্তান মারা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মৃত সন্তানের প্রসব করাতে ফের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
মহিলার পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে রেফার সার্টিফিকেট লিখে দিলেও, সেটি তাঁদের হাতে দেওয়া হয়নি। বরং ‘বুড়া’ নামে এক দালালের হাতে ওই কাগজ দেওয়া হয়। আরও অভিযোগ, ওই দালাল উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে না নিয়ে গিয়ে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো ব্যবস্থা করে, এবং ৫০ হাজার টাকা নগদ চায়। তাতে মহিলার পরিবারের লোকজন রাজি না হওয়ায় রেফারের কাগজটি সে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই বিক্ষোভের মুখে পড়ে ওই ব্যক্তি। চলে গণপিটুনি। ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ওই দালালকে আটক করেছে। অন্যদিকে তঞ্জিমা খাতুনকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেলেই ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তাঁর গর্ভস্থ মৃত সন্তানের প্রসব হয়। তবে গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠছে জলপাইগুড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।