নিজস্ব প্রতিনিধি,নিউ টাউন: এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র নিউটাউনের (Newtown)শুলঙ্গড়ি এলাকাতে। মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ায় লাল্টু মুন্সির বাড়িতে ভাঙচুর এবং রাস্তা অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগের শিকার অশোক হালদার। দমদম সংশোধনাগারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আর জি কর হাসপাতালে(R G Kar Hospital) নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের এবং তার পরিবারের।
পাওনা টাকা চাইতে গেলে টাকা আদায়কারী অশোক হালদারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলার অভিযোগ করা হয়। মিথ্যে অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় অশোক হালদার। গোটা বিষয়টি জ্যাংড়া হাতিয়ারা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা গায়েন এবং তার স্বামী শিব শংকর গায়েনের প্ররোচনায় হয় বলে অভিযোগ। জেল হেফাজতে থাকা কালীন অশোক হালদারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় নিউটাউন থানা(Newtown P.S.) অন্তর্গত সুলংগুড়ি কলোনি পাড়ায়। সুলংগড়ি স্কুলের সামনের রাস্তায় মৃতদেহ রেখে রাস্তা অবরোধ করে এলাকার লোকজন। প্রধানের কথায় মিথ্যে সাক্ষী দিয়েছিল লালটু মুন্সি সেই অভিযোগ তুলে লালটু মুন্সির(Laltu Munsi) বাড়ি ভাঙচুর করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মৃত অশোক হালদার তার বন্ধু বাবলু হাজরার সাথে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য যান ওই এলাকারই এক কাঠ ব্যবসায়ী কাছে এবং এরপরে ওই কাঠ ব্যবসায়ী শংকর লাল জোশি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন এবং হাসপাতালে বসেই জবানবন্দি দেন যে ওই দুই ব্যক্তি তাকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিউ টাউন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে নিউটাউন থানার পুলিশ অশোক হালদারকে গ্রেফতার করে। বারাসাত আদালতে তোলা হলে বিচারক অশোক হালদারকে ২৮ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। গতকাল দমদম সংশোধনাগারে(DumDum Central Jail) অশোক হালদার অসুস্থ হয়ে পড়লে। তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকর হাসপাতালে।
সেখানে অশোক হালদারের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগেই কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা ।এই ঘটনা পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা গাইন প্রদর্শন ও তার স্বামী শিব শংকর গায়েনের প্ররোচনাতেই হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় শুলংগুড়ি কলোনি পাড়া এলাকায় এবং মিথ্যে মামলাকারী ওই ব্যবসায়ী শংকরলাল জোশি পলাতক। এই গোটা ঘটনার জেরে শুলনগরী স্কুলের সামনের রাস্তায় মৃতদেহ রেখে রাস্তা অবরোধ ও মিথ্যে সাক্ষী দেওয়া লালটু মুন্সির বাড়ি ভাঙচুর করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
