নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শেখ হাসিনার জমানার অবসানের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশে শুরু হয়েছে মৌলবাদী ও জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত। আর বেছে বেছে জঙ্গি ও কুখ্যাত অপরাধীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। এবার দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের শীর্ষ পদে (খতিব) নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি-বি)-এর প্রথম সারির নেতা আলাম্মা মুফতি আবদুল মালেককে বসানো হয়েছে। আর তাতেই সিঁদূরে মেঘ দেখছেন ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিমরা।

সেনা বিদ্রোহের পরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালানোর পরেই পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার মদতপুষ্ঠ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর ওই সরকারের জমানায় বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ পদে পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের। দেশের প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে কট্টর হিন্দু বিদ্বেষী এবং জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক সৈয়দ রিফাত আমেদকে। খোদ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর পদে নিয়োগ পেয়েছেন হিযবুত তাহরীর সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মাহফুজ আলম। নীতি ভেঙে এক সঙ্গে ২১ জামায়াত ইসলামীর সদস্যকে বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আর এবার হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল মালেককে দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব পদে নিয়োগ করা হয়েছে। ইসলামি শিক্ষার জন্য ১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তানে যান। সেখানে জামিয়া উলুমুলু ইসলামিয়ায় পাঠরত অবস্থায় ভারতীয় গোয়েন্দাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া পাকিস্তানের শীর্ষ জঙ্গি নেতা মুফতি তাকী ওসমানীর ঘনিষ্ঠ হন। আফগানিস্তান এবং সিরিয়ায় তালিবান ও আল কায়দার সশস্ত্র শিবিরে দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি ভারতে জঙ্গি স্লিপার সেল গঠনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।