এই মুহূর্তে




শেষ মুহুর্তে শেখ হাসিনার সঙ্গে গদ্দারি করেছিলেন দু’জন, কারা সেই গদ্দার?




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সিনেট হাউজে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারকে ছুরির আঘাতে হত্যা করেছিল বিশ্বসাঘাতকরা। সেই হত্যাকারীদের মধ্যে নিজের প্রিয় সহচর ব্রুটাসকে দেখে অবাকই হয়েছিলেন সিজার। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আগে আত্মস্বরে উচ্চারণ করেন, Et tu Brute অর্থাৎ ব্রুটাস তুমিও! জুলিয়াস সিজার তাঁর প্রিয় সহচরকে দেখে যে কথা উচ্চারণ করেছিলেন, তা করার সময় পাননি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। অতি বিশ্বস্ত দুজনের শেষ মুহুর্তে বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। ওই দুই গদ্দার কারা, দীর্ঘদিন বাদে তা ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী। আর ওই দুই নাম শুনেই চমকে গিয়েছেন হাসিনা ঘনিষ্ঠরা।

সূত্রের খবর, গত পয়লা অগস্টই শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছিলেন, কোটা আন্দোলন আসলে বাহানা। তাঁকে ক্ষমতার কুর্সি থেকে হঠাতেই পড়ুয়ারূপী জঙ্গিদের রাজপথে নামিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা এফবিআই। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বুঝতে পারেন ৪ অগস্ট বিকেলে। ওই দিনই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে শেখ হাসিনার ইস্তফার দাবি তোলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সকালে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানকে জরুরি তলব করে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। ৬ অগস্ট যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে ঢাকা মার্চ এর ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাই ৫ অগস্ট দেশে জরুরি অবস্থা জারি হবে বলে ঠিক হয়েছিল। গণভবন থেকে সরকারের ওই পরিকল্পনা আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের জানিয়ে দেন ‘গদ্দার’ ওয়াকার উজ জামান। আর সেনাপ্রধানের ওই বার্তা পেয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলে ৪ অগস্ট বিকালেই পরের দিন ‘ঢাকা চলো’র ডাক দেয় ছাত্র জোট।

আর ওই কর্মসূচি জানার পরেই জরুরি অবস্থা জারি করার জন্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অনুরোধ জানান শেখ হাসিনা। কিন্তু এক সময়ের বিশ্বাসী ভৃত্য চুপ্পু বঙ্গবন্ধু কন্যার ওই মৌখিক প্রস্তাব মানতে রাজি হননি। তিনি পাল্টা জানান, ‘রাতের মধ্যে যেন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থার সুপারিশ পাঠানো হয়।’ ওই কথা শুনে বিস্মিত হন শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর সচিবালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রীদের জরুরি ভিত্তিতে গণভবনে আসার নির্দেশ দেন। কিন্তু অধিকাংশ মন্ত্রীর সঙ্গেই যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে ৪ অগস্ট রাতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা যায়নি। ৫ অগস্ট সকালেও শেষ বারের মতো জরুরি অবস্থা জারির চেষ্টা চালান শেখ হাসিনা। কিন্তু তাতে তীব্র আপত্তি জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। তিনি পাল্টা জানান, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের উপরে আস্থা নেই সেনাবাহিনীর সদস্য ও আধিকারিকদের। জরুরি অবস্থা জারি করলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে। দেশকে ভালবাসলে যেন প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে ঢাকা ছেড়ে অন্য কোনও দেশে চলে যান।’ আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, যদি ৪ অগস্ট দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হলে ৫ অগস্টের পরিস্থিতি তৈরি হত না। দুই ‘গদ্দার’ ওয়াকার-উজ জামান আর সাহাবুদ্দিন চুপ্পু শেষ মুহুর্তে চোখ পাল্টি না করলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাছাড়া হত না।’ আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘রাজাকার সন্তান ওয়াকার-উজ জামানকে সেনাপ্রধান এবং চুপ্পুর মতো ধান্দাবাজ দুর্নীতিগ্রস্থকে রাষ্ট্রপতি পদে না বসানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বার বার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু আত্মীয় স্নেহে অন্ধ বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই পরামর্শে কর্ণপাত করেননি। তার মূল্য চোকাতে হয়েছে। সাধের সাজানো বাংলাদেশ ছেড়ে চোরের মতো পালিয়ে যেতে হয়েছে হাসিনাকে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ফের উত্তাল ঢাকা, নিরাপত্তায় মোতায়েন যৌথবাহিনী

লজ্জা! বাংলাদেশে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পাকড়াও ভারতীয় ইঞ্জিনিয়র

শেখ মুজিব-সহ চার জাতীয় নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করছে ইউনূস সরকার

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে ৭ বছর করল ইউনূস সরকার  

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নেই, জানিয়ে দিলেন ইউনূস

বাংলাদেশে কাঁকড়ার ব্যবসা করবেন ট্রাম্প,লাইসেন্স মঞ্জুর করল ইউনূস সরকার

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর