-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 3:49 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, বস্তি: শেষ পর্যন্ত বিচার পেলেন বটে আবদুল্লাহ আয়ুব কিন্তু বড্ড দেরি হয়ে গেল। বিনা অপরাধে জীবনের ২০টি বছর জেলের গরাদের পিছনেই কাটাতে হল উত্তরপ্রদেশের বস্তির বাসিন্দাকে। আর আয়ুবের ওই জেল যাত্রার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল খোদ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ২০ বছর অন্ধকার গারদে কাটানোর পরে অবশ্য ‘সবার উপরে’ সিনেমার ছবি বিশ্বাসের মতো কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেননি, ‘ফিরিয়ে দিন ধর্মাবতার, আমার জীবনের হারিয়ে যাওয়া ২০টি বছর।’
কী ঘটেছিল আয়ুবের জীবনে? বাস্তির বাসিন্দা আয়ুবের বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে ছিলেন পুলিস কনস্টেবল মহম্মদ খুরশিদ। ভাড়াটে হিসেবে থাকলেও এক পয়সা ভাড়া দেননি। দিনের পর দিন ভাড়া না পাওয়ায় খুরশিদকে বাড়ি থেকে উৎখাত করেছিলেন আয়ুব। ওই অপমান হজম হয়নি খাকি উর্দিধারীদের। এর পরেই বদলা নিয়ে গত ২০০৩ সালের মার্চে আয়ুবকে গ্রেফতার করে পুরানো বস্তি থানার পুলিশ। অভিযোগ আনা হয়, তাঁর কাছ থেকে এক কোটি টাকা মূল্যের ২৫ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছে। গ্রেফতারের পরেই শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছিল আয়ুবের।
গত ২০ বছর ধরে জেলের ঘানি টানতে হয়েছে। নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে বার বার জামিনের আর্জি জানিয়েও জেল থেকে মুক্ত হতে পারেননি। কেননা, শুধু যে হেরোইন পাওয়ার অভিযোগে আটকে রাখা হয় আয়ুবকে তাই নয়, এমনকী ফরেনসিক রিপোর্টেও কারচুপি করা হয়। বস্তির ফরেনসিক ল্যাব থেকে জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া পাউডার অবশ্য-ই হেরোইন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আদালত লখনউয়ের ফরেনসিক ল্যাবে ওই পাউডার পাঠানোর নির্দেশ দেয়। লখনউয়ের ফরেনসিক ল্যাব থেকে জানানো হয়, আয়ুবের কাছ থেকে পাওয়া পাউডার কোনও মাদক নয়। আর ওই সাধারণ পাউডারের মূল্য মাত্র ২০ টাকা। এর পরেই বিচারপতি বিজয় কুমার কাটিহার বিনা অপরাধে জেল খাটা আয়ুবকে বেকসুর খালাস দেন।